শিরোনাম
নওগাঁ, ৩ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার বেনীপুর থেকে বেগুনবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পাকা সড়ক স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করেছেন উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম।
দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে ভরা এ সড়কটি হাজারো মানুষের জন্য দুর্ভোগের প্রতীকে পরিণত হয়েছিল। নিজ উদ্যোগে ইট ও রাবিশ দিয়ে রাস্তার গর্ত ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করে তোলেন নুরুল ইসলাম। এতে স্থানীয়দের ভোগান্তি অনেকটাই কমে আসে।
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার বেনীপুর থেকে বেগুনবাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পাকা সংযোগ সড়ক বছরের পর বছর সংস্কার না হওয়ায় এটি ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। খানাখন্দে ভরা এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছিলেন অন্তত ১০ গ্রামের প্রায় ৭ হাজার মানুষ। এ সড়ক দিয়েই নিয়ামতপুরের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী উপজেলা পোরশা ও সাপাহারের যোগাযোগ রক্ষা করে স্থানীয়রা।
দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছিল বড় বড় গর্ত, উঠে গিয়েছিল পিচঢালা অংশ। এতে গাড়ি ও ভ্যানচালকরা বিপাকে পড়তেন। অনেকেই বাধ্য হয়ে বিকল্প পথ ব্যবহার করলেও সময় ও খরচ বেড়ে যাচ্ছিল কয়েকগুণ। বারবার অভিযোগ করেও কোনো সমাধান না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন এলাকাবাসী।
এই পরিস্থিতিতে মানবিক উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক সংস্কারে নামেন নিয়ামতপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম। তিনি নিজ উদ্যোগে ইট ও রাবিশ দিয়ে রাস্তায় বড় বড় গর্ত ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করে তোলেন। এতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ অনেকটা লাঘব হয় এবং তারা বিএনপি নেতার এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
স্থানীয় ভ্যানচালক আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘এই রাস্তায় মানুষ যেতে চাইত না। ভ্যানের ক্ষতি হতো, যাত্রী বিরক্ত হতো। আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতাম। নুরুল ইসলাম নিজ উদ্যোগে ইট দিয়ে রাস্তা সংস্কার করেছেন। আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ।’
পথচারী রবিউল বলেন, ‘অনেকদিন ধরে এই রাস্তায় চলাচল করা ভীষণ কষ্টকর ছিল। নুরুল ইসলাম আমাদের কষ্ট লাঘবে যে মহৎ কাজ করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।’
এ উদ্যোগ নেয়ার কারণ জানতে চাইলে নুরুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফা জনগণের মাঝে পৌঁছে দিতে এলাকায় এসেছিলাম। তখনই রাস্তাটির দুরবস্থা চোখে পড়ে। মনে হলো মানুষের কষ্ট লাঘবে কিছু করা উচিত। তাই স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কারের কাজ করি। বিএনপি সবসময় জনগণের পাশে ছিল এবং থাকবে।’
তিনি আরও জানান, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজারো নারী-পুরুষ ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করেন। রাস্তা সংস্কারের ফলে তাদের কষ্ট অনেকটাই কমবে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে আমার নিজ উদ্যোগে প্রায় ছয় কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা মনে করছেন, নুরুল ইসলামের এ মানবিক উদ্যোগে শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়নি। এ উদ্যোগ মানুষের মনে নতুন করে আশা জাগিয়েছে। এ ধরনের জনকল্যাণমূলক কাজে রাজনৈতিক নেতাদের সম্পৃক্ত হওয়া সমাজ ও জনগণের জন্য ইতিবাচক দৃষ্টান্ত তৈরি করবে।