বাসস
  ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:৩৭

হৃদরোগ প্রতিরোধে রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা জরুরি: বিশেষজ্ঞ অভিমত

ছবি : বাসস

রাজশাহী, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : হৃদরোগজনিত মৃত্যুহার ও জটিলতা টেকসইভাবে কমাতে উচ্চ রক্তচাপ ও নিয়ন্ত্রণহীন ডায়াবেটিস পরীক্ষা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন কার্ডিয়াক বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

তাদের মতে, বেপরোয়া জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে হৃদরোগ ও স্ট্রোকসহ নানা অসংক্রামক রোগ (এনসিডি) দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারকে এই রোগ বৃদ্ধির জন্য দায়ী করা হচ্ছে।

বিশ্ব হার্ট দিবস-২০২৫ উপলক্ষে সোমবার রাজশাহীতে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন (এনএইচএফ) প্রাঙ্গণে র‌্যালি পরবর্তী সেমিনার ও আলোচনায় বক্তারা একথা বলেন।

বিশ্ব হার্ট দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডোন্ট মিস এ বিট’। এটি মানুষের দৈনন্দিন জীবন যাত্রায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানায়, যা আয়ু বাড়াতে সহায়ক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চল্লিশের কোঠায় পৌঁছালে হৃদযন্ত্র ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে। এ সময়ে বিপাকক্রিয়া ধীর হয় এবং দীর্ঘদিনের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার প্রভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

এ প্রতিপাদ্যের লক্ষ্য হলো সচেতনতা থেকে ক্ষমতায়ন ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা। এটি নীতি-নির্ধারণে প্রভাব বিস্তার ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনের পক্ষে জনসচেতনতা তৈরি-এই দুই দিকেই জোর দেওয়া হয়েছে।

আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন এনএইচএফ এর কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আতাহার আলী। এতে সভাপতিত্ব করেন এনএইচএফ সভাপতি আব্দুল মান্নান।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন এনএইচএফ সদস্য খন্দকার এনায়েত হোসেন, হাসেন আলী, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, লিয়াকত আলী, মনোয়ার হোসেন, ইমতিয়াজ আহমেদ, শামসুল হুদা ও এনামুল হক।

অধ্যাপক ডা. আতাহার আলী বলেন, শরীর চর্চার অভাব, ফাস্ট ফুড ও কোমল পানীয় গ্রহণ, বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ও অ্যালকোহল সেবনের অভ্যাসও হৃদরোগের বড় কারণ।

তিনি বলেন, জীবনযাত্রার পরিবর্তন, রক্তে শর্করা ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং লিপিডজনিত সমস্যার চিকিৎসা হৃদরোগের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

তিনি আরো বলেন, উচ্চ রক্তচাপকে ‘নীরব ঘাতক’ বলা হয়। কারণ, এটি বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে কোনো উপসর্গ ছাড়াই থেকে যায়। তবে এ অবস্থা রক্তনালীর ভেতরের সূক্ষ্ম আস্তরণে ক্ষয় সৃষ্টি করে।

দিবসটি উপলক্ষে একটি হার্ট ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। সেখানে  প্রায় ৩শ’ হৃদরোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়।