বাসস
  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:১১

কক্সবাজারে দুর্গাপূজা আনন্দমুখর করতে নানা আয়োজন

দুর্গাপূজাকে ঘিরে কক্সবাজারে শেষ মুহূর্তে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমাশিল্পীরা। ছবি : বাসস

।। ইব্রাহিম খলিল মামুন।।

কক্সবাজার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : আর মাত্র কয়েকদিন পরই শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব থেকে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজাকে ঘিরে কক্সবাজারে শেষ মুহূর্তে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমাশিল্পীরা। পূজা শুরুর দুই থেকে তিন দিন আগে শেষ হবে কাজ। এরইমধ্যে পূজার উৎসবকে বাড়িয়ে দিতে জেলাজুড়ে চলছে নানা আয়োজনের প্রস্তুতি। প্রতিমার সাজসজ্জায় ব্যস্ত কারিগররা, কেনাকাটায় ব্যস্ত নারী, পুরুষ ও শিশুরা। পূজা উদযাপনের আয়োজকরা মণ্ডপে মণ্ডপে ভক্তদের নিরাপত্তা, খাবার নিশ্চিতসহ বিভিন্ন আয়োজনে ব্যস্ত। সবমিলিয়ে জেলায় শুরু হয়েছে দুর্গাপূজার মহাকর্মযজ্ঞ। 

এদিকে পূজার উৎসব আনন্দঘন করতে আর অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রস্তুত রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পূজায় সব মণ্ডপে যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে, সেজন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্র জানায়, চলতি বছর জেলার ৯ উপজেলার ৩১৭টি মণ্ডপে পূজিত হবে দেবী দুর্গা। কক্সবাজার সদরে ৩১টি, চকরিয়া উপজেলায় ৬৯টি, উখিয়ায় ৯টি, কুতুবদিয়ায় ৪৫টিসহ অন্যান্য এলাকায় ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ১৫১টি প্রতিমা পূজা ও ১৬৬টি ঘটপূজা।

মৃৎশিল্পী মিল্টন ভট্টাচার্য বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিমার চাহিদা অনেক বেশি। তাই দিন-রাত কাজ করতে হচ্ছে।

কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক স্বপন দাশ বলেন, কক্সবাজারে ৩১৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সার্বিক নিরাপত্তায় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করে যাচ্ছি।

র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সহ-অধিনায়ক মেজর এহেতাশামুল হক বলেন,  উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনে র‌্যাব সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে। পূজাকে কেন্দ্র করে যেকোনো নাশকতার চেষ্টা কঠোরভাবে দমন করা হবে।

তিনি জানান, পূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কক্সবাজারের প্রবেশপথসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বিজয়া দশমী পর্যন্ত বিশেষ টহল ও পর্যাপ্তসংখ্যক র‌্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে।

এদিকে শারদীয় দুর্গোৎসবের সময় দুই দিন সরকারি ছুটি ও দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে মোট চারদিন বন্ধ থাকবে বিভিন্ন অফিস-আদালত। ছুটিতে যাত্রী চাপ সামলাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার-ঢাকা রুটে চার দিন চলবে ‘বিশেষ ট্রেন’।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেল পৌনে ৩টায় ‘ঢাকা স্পেশাল’ চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে ঢাকা পৌঁছাবে রাত ৮টায়। আর ‘চট্টগ্রাম স্পেশাল’ ট্রেনটি ৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা ছেড়ে চট্টগ্রামে পৌঁছাবে পরদিন ভোর সাড়ে ৪ টায়।

অপরদিকে ৩০ সেপ্টেম্বর ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেনটি রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা ছেড়ে কক্সবাজার পৌঁছাবে ভোর ৬ টা ৫০ মিনিটে। ১ অক্টোবর কক্সবাজার থেকে বেলা সাড়ে ১১ টায় ছেড়ে ঢাকা পৌঁছাবে রাত ৮ টায়। একই ট্রেন রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা ছেড়ে কক্সবাজার পৌঁছাবে পরদিন ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে। ট্রেনটি ৩ অক্টোবরে একই সময়ে উভয় রুটে চলাচল করবে। ৪ অক্টোবর ‘টুরিস্ট স্পেশাল’ শুধু কক্সবাজার থেকে বেলা সাড়ে ১১টায় ছেড়ে ঢাকা পৌঁছাবে রাত ৮ টায়।