বাসস
  ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:০৯
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:১৩

শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রত্যাশা বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতের

ছবি : বাসস

বরিশাল, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং এর চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছে।

আজ বুধবার বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
 
সভায় ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন আরাল্ড গুলব্র্যান্ডসেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক উপস্থিত ছিলেন।
 
মতবিনিময় সভা শেষে তারা বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ।
 
রাষ্ট্রদূতরা ভবিষ্যতে বাংলদেশে একটা সুন্দর, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে এমন প্রত্যাশা করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের এই অগ্রযাত্রায় তারা শামিল হয়ে পাশাপাশি থেকে কাজ করার জন্য তারা আশ্বাস দিয়েছেন। 

কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনের জন্য একটি মাস নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এ লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দেশে-বিদেশে নির্বাচনটাকে সবার জন্য উন্মুক্ত রেখেছি। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করে যাওয়া হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, এরই অংশ হিসেবে বিদেশিদের সংস্থা এবং আমাদের যে বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্র রয়েছে, সে সমস্ত রাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা বিভিন্ন সময় মত বিনিময় করেছি।

আমরা আমাদের নির্বাচনের পরিকল্পনা সম্পর্কে তাদেরকে জানিয়েছি।
 
তিনি জানান, মতবিনিময় সভায় উপস্থিত রাষ্ট্রদূতরা আমাদের আগামী দিনের কী প্রস্তুতি, আগামী দিনের কী চ্যালেঞ্জ আছে নির্বাচনকে সুস্থ করার জন্য, সে বিষয়ে আমাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। 

কে এম আলী নেওয়াজ বলেন, রাষ্ট্রদূতরা জানতে চেয়েছিলেন নারী ভোটারদের কীভাবে ভোটে বেশি অংশগ্রহণ করানো যায়,  সে বিষয়ে আমরা কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা তাদেরকে বলেছি, এ বিষয়ে আমরা বদ্ধপরিকর। তারা আমাদের নির্বাচনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল। আমরা ভোটার তালিকা করাসহ আমাদের কার্যক্রম সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করেছি।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ আরও বলেন, তারা জানতে চেয়েছিলেন আগামী নির্বাচন এবং অতীতের, বিশেষ করে ২০২৪ সালের নির্বাচনের মধ্যে কী কী পার্থক্য থাকবে। এক্ষেত্রে আমরা বলেছি, বিভিন্ন ধরনের আইনের সংস্কার, আইনের পরিবর্তন যতটুকু প্রয়োজন, সেগুলো আমরা বলেছি।
 
ভবিষ্যতে এই নির্বাচন একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে সেটা তারা প্রত্যাশা করেছেন। নির্বাচন কমিশনের এই অগ্রযাত্রায় তারা শামিল হয়ে পাশাপাশি থেকে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।