শিরোনাম

-শাহজাহান নবীন-
ঝিনাইদহ, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (বাসস): শারদীয় দুর্গাপূজা আসন্ন। এরই মধ্যে ঝিনাইদহের শহর ও গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে শারদীয় দূর্গোৎসবের আমেজ। জেলার বিপণী বিতানগুলোতে এ উপলক্ষে বেড়েছে কেনাকাটার ভিড়। প্রিয়জনদের জন্য পছন্দের পোশাক ও অলংকার কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
অন্যদিকে, পূজা উপলক্ষে অতিথিদের আগমন ঘিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে খুশির আমেজ বিরাজ করছে। অতিথি আপ্যায়নের জন্য নিজের সামর্থ্য অনুসারে প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
সরেজমিন ঝিনাইদহ জেলা শহরের কাপড়পট্টি, সাদাতিয়া কমপ্লেক্স, মুন্সি মার্কেট ঘুরে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কেউ কেউ প্রিয়জনদের পছন্দের কাপড় কিনছেন, কেউবা কিনছেন শখের অলংকার। তবে পোশাকের দাম নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। নীলা রানী ও নির্মলা রানী নামের দুই নারী জানান, এখন থেকেই কেনাকাটা শুরু করেছেন। তবে পোশাকের দাম কিছুটা বেশি।
দোকানিরা জানান, পূজা শুরু হতে এখনো কয়েকদিন বাকি। বেচাকেনা এখনো তেমন জমে ওঠেনি। তবে বছরের অন্য সময়ের চেয়ে বেচাকেনা বেড়েছে। পোশাক পরিচ্ছদের দামও নাগালে। ক্রেতারা যাচাই-বাছাই করে সামর্থ্য অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পোশাক কিনছেন। তবে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলে বেচাকেনা আরো বাড়বে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।
শহরের স্বর্ণকার পট্টির ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েক দফায় স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে এবার পূজা উপলক্ষে অলংকার ক্রেতাদের ভিড় কম। পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলে অলংকার বেচাকেনা বাড়বে বলেও প্রত্যাশা স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের।
এদিকে, পোশাক ও অলংকার বেচাকেনার পাশাপাশি প্রসাধনী, সাজসজ্জার উপকরণ, শিশুদের খেলনা ও মিষ্টি মন্ডার বিক্রি বেড়েছে। সেই সঙ্গে মুড়ি, চিড়া, বাতাসা, নারকেলের মতো খাদ্য উপকরণের বেচাকেনাও জমে উঠেছে। আর এসব পণ্যের অধিকাংশ ক্রেতা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
অপুর্ব হালদার নামে একজন ক্রেতা বলেন, দুর্গাপূজায় পরিবারের সবাই নতুন পোশাক ও পছন্দের উপহার পেতে চায়। বছরের এই একটা উৎসবে পরিবারের সবার মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা থাকে। বাজারে এসেছি বাচ্চার পোশাক কিনবো। ঘুরে ঘুরে দেখছি, পছন্দ হলেই কেনাকেটা করব।
শাপলা মজুমদার নামের একজন নারী জানান, পরিবারের সকলের জন্য কিছু কিছু করে কেনাকেটা করছেন। পূজার সময় আত্মীয়স্বজনরা আসবেন, তাদের জন্যও কেনাকাটা করছেন। দুর্গাপূজায় বাড়িতে মুড়ি, মুড়কি, নাড়ু তৈরি করা হয়। এজন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য বিভিন্ন দোকানে ঘুরে ঘুরে দেখছেন।
জেলা শহরের মুন্সি মার্কেটের কাপড় ব্যবসায়ী পলাশ হোসেন জানান, সন্ধ্যার পর থেকে বেচাকেনা বেশি হয়। কাপড়ের কোয়ালিটি অনুযায়ী দাম। দেশি-বিদেশি নানা রকম কাপড় কিনছেন ক্রেতারা। পাঞ্জাবি, শার্ট, শাড়ি, থ্রিপিস, ওয়ান পিস, লেহেঙ্গা বিক্রি বেশি হচ্ছে।
মুদি দোকানি গোবিন্দ বিশ্বাস জানান, পূজার কারনে বিক্রি বেড়েছে। চিড়া, মুড়ি, নারকেলের বেচাকেনা কিছুটা বেশি। পাশাপাশি উন্নতমানের চাল, আটা, সুজি, গুড়া দুধ ও মশলার বিক্রি বেড়েছে।