বাসস
  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯:২৫

ভোলায় শারদীয় দূর্গোৎবের জন্য ১১৩ পূজা মণ্ডপ প্রস্তুত হচ্ছে, থাকছে নিরাপত্ত্বাবলয়

আল-আমিন শাহরিয়ার 

ভোলা, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জেলায় আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভোলা জুড়ে সকল প্রস্তুতি এখন শেষের পথে। জেলা প্রশাসনের দেয়া তথ্যমতে, এ বছর জেলার মোট ১১৩টি পূজা মণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। তবে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচীব অসিম কুমার সাহা'র দাবি অনুযায়ী মণ্ডপের সংখ্যা ১১২টি।

পূজা উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূজা মণ্ডপগুলোর নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে চার স্তরের বিশেষ ব্যবস্থা। প্রতিটি মণ্ডপে দায়িত্ব পালন করবেন বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। 

গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপগুলোতে থাকবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা। এছাড়া নির্বিঘ্নে পূজা সম্পন্ন করতে জেলার ৭ উপজেলায় মোতায়েন থাকবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকবেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।

ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বাসস'কে জানান, এবার পূজা মণ্ডপগুলোর জন্য জেলা প্রশাসকের ত্রাণ কার্যালয় থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫৬.৫ টন সরকারি চাল। প্রতিটি মণ্ডপে ৫০০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।

ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব অসিম কুমার সাহা জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস পেয়েছি। তবে কিছু মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা না থাকলেও আগামী ২৬ তারিখের মধ্যে সেগুলো ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।

ভোলার পুলিশ সুপার মো. শরিফুল হক জানান, আসন্ন পূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় সতর্ক থাকবে। পূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে জেলাব্যাপী নিশ্ছিদ্র নিরাপত্ত্বাবলয় তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

ভোলা জেলার পূজামণ্ডপগুলোর মধ্যে রয়েছে, ভোলা সদর উপজেলায় ২৭টি, বোরহানউদ্দিনে ২০টি, দৌলতখানে ৮টি, লালমোহনে ১৯টি, তজুমদ্দিনে ১৫টি, চরফ্যাশনে ১৩টি এবং বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরায় ১১টি পূজা মণ্ডপ। 

এদিকে জেলার পূজামণ্ডপলোতে মৃত শিল্পীরা প্রতিমা তৈরি এবং রং-তুলির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। 

অন্যান্য সাজ-সজ্জার কাজও চলতে দেখা  গেছে।

ভোলা জেলা পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সিবু কর্মকার জানিয়েছেন, আগামী দু'একদিনের মধ্যেই জেলাব্যাপী পূজা মণ্ডপ তৈরির কাজ সম্পন্ন হবে।  তিনি আরও বলেন, এবারের পূজা উপলক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যকরী দৃশ্যমান পদক্ষেপে সনাতনী ধর্মাবলম্বীরা সন্তুষ্ট।