শিরোনাম
ঢাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : সফররত ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে সামগ্রিক মানবাধিকার পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন।
সফররত প্রতিনিধিদলটি বিশেষ করে দেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতির ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসা করেছেন। প্রতিনিধিদলটি জানিয়েছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য এবং মানবাধিকার বিষয়ক উপ-কমিটির সভাপতি মুনির সাতোরি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে দেখা করেন। এসময় ইইউ পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রশংসা করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রতিনিধিদলকে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারমূলক উদ্যোগ সম্পর্কে অবহিত করেন, যেখানে মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখা ও ভবিষ্যতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা রোধে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
তিনি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মানবাধিকার দলিলে সম্প্রতি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে রয়েছে জোরপূর্বক গুম সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশন এবং নির্যাতন বিরোধী কনভেনশনে বাংলাদেশের যুক্ত হওয়া।
উপদেষ্টা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারের চলমান প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে ইইউর সমর্থনের কথা স্বীকার করার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশে ইইউর প্রাক-নির্বাচন অনুসন্ধান মিশনের আসন্ন সফরকে উষ্ণ স্বাগত জানান।
প্রতিনিধিদলের প্রধান জানান, বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র পিছিয়ে পড়ছে। তবে, অনেক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখার জন্য সঠিক পথে এগিয়ে চলেছে।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন প্রতিনিধিদলের প্রধান। পাশাপাশি সীমিত সম্পদ সত্ত্বেও মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য সরকারের টেকসই প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে আন্তর্জাতিক ফোকাস রাখার ক্ষেত্রে ইইউ নেতৃত্বের অব্যাহত গুরুত্বের উপর জোর দেন এবং রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য চলমান সাহায্যের ঘাটতি পূরণের আহ্বান জানান।
তিনি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসন সহজতর করার জন্য ইইউর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য বাংলাদেশের অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেন।
শুক্রবার বাংলাদেশ ত্যাগ করার আগে প্রতিনিধিদলটি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।