বাসস
  ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:৩৫

কুড়িগ্রামে নদীতে পানি বাড়ছে 

কুড়িগ্রামে উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাতে নদীর পানি বাড়ছে। ছবি: বাসস

 

কুড়িগ্রাম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): গত ৩ দিন ধরে উজানের ঢল ও বৃষ্টিপাতে কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে দুধকুমার নদের পানি বিপদ সীমার ৭ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে এবং তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

ইতোমধ্যে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। নীচু এলাকার অনেক ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। অব্যাহত রয়েছে নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ভাঙ্গন।

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার দুধকুমার নদীর অববাহিকায় বিভিন্ন চরাঞ্চলের  নিম্নাঅঞ্চলে নদীর পানি প্রবেশ করেছে। বল্লভের খাস ইউনিয়নের ফান্দের চর, বামন ডাঙ্গা ইউনিয়নের নুচনি ও ধাউরারকুটি চরসহ কয়েকটি এলাকায় পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।

ধাউরারকুটির বাসিন্দা মাহবুব (৫৫) জানান, দুধকুমার নদের পানি আমাদের এলাকার কিছু বাড়িতে উঠতে শুরু করেছে। সকালে যেখানে পানি ছিল না, বিকেলে সেই যায়গাগুলো পানির নিচে।

ফান্দের চর এলাকার কৃষক আশরাফুল (৪৫) বলেন, গত ২ দিন থেকে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমার বেশকিছু ক্ষেতের ধান-পাট তলিয়ে গেছে। আজ সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। পানি আর একটু বাড়লে বাড়ি-ঘরে প্রবেশ করবে।
ফুলবাড়ি উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের দক্ষিণ চর গোরকমণ্ডপ ধরলা নদী এলাকার মালেকা (৬৫) বলেন, সকাল থেকে ধরলা নদীর পানি বাড়ছে। আর ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রচণ্ড পরিমান ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে গ্রামের ১৫টি বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।

কুড়িগ্রাম রাজাহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, বৃষ্টি আগামীকাল পর্যন্ত চলতে থাকবে। পরদিন থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে।

\জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আবৃদুল মতিন বলেন, উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত শুকনা খাবার ও ভলান্টিয়ারদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, জেলার ৩৩টি পয়েন্টে আড়াইশো কেজি বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা হচ্ছে।