শিরোনাম
দিনাজপুর, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : জেলার চিরিরবন্দর উপজেলায় কৃষকদের ইঁদুর নিধন পদ্ধতি ও কৌশলগত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোহরা সুলতানা বলেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় গ্রামের মাঠে কৃষকদের আজ সতর্কতায় ইঁদুরের বিষ বা রডেন্টিসাইড ব্যবহার পদ্ধতি জানা এবং সাবধানতা অবলম্বন করার বিষয় শিখানো হয়েছে। কারণ এটি অন্যান্য প্রাণী এবং মানুষের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, চিরিরবন্দরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় গণ-সচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করতে এই কার্যক্রম সরেজমিনে মাঠে গিয়ে কৃষকদের শিখানো হয়। ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই উপজেলার ১২'টি গ্রামের মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন দু'শতাধিক কৃষক।
কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষক সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ হাবিব হাসান জানান, ইঁদুর নিধন বলতে ইঁদুর মেরে ফেলার প্রক্রিয়া বোঝায়। যা প্রধানত রাসায়নিক পদ্ধতি যেমন রডেন্টি-সাইড বা ইঁদুরের বিষ ব্যবহার করে করা হয়।
এছাড়াও, ফাঁদ ব্যবহার, ইঁদুরের গর্ত খুঁড়ে বা জল ঢেলে বের করে মারা এব ধোঁয়া দিয়ে তাড়ানো এই প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত। ইঁদুর নিধনের জন্য নির্দিষ্ট সময় ও পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি, যেমন ফসলের থোর আসার আগে মাঠে বিষ টোপ ব্যবহার করা। ইঁদুর নিধনে বাজারে দুই ধরনের বিষ পাওয়া যায়। যেমন জিংক ফসফাইড যা দ্রুত ইঁদুরকে মেরে ফেলে। এই বিষ টোপ ইঁদুরের গর্তে বা চলাচলের পথে ব্যবহার করা হয়। আঠা ইঁদুর ধরার জন্য গুদামে বা ঘরে কাঠের বোর্ডে, মোটা কাগজে বা টিনে আঠা লাগিয়ে ইঁদুরের চলাচলের রাস্তায় ব্যবহার করা হয়। যান্ত্রিক পদ্ধতি: ফাঁদ ব্যবহার, বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ ব্যবহার করে ইঁদুর ধরা যায়।
করণীয়, সঠিক সময় ফসলে থোর আসার আগে মাঠে ইঁদুর নিধনের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কারণ এ সময় ইঁদুরের খাবার কম থাকে এবং তারা বিষ টোপ সহজে খায়।