বাসস
  ২৯ জুন ২০২৫, ১৬:৪৬

বৃষ্টি ও জোয়ারে পানিতে বাগেরহাট শহর প্লাবিত, ভোগান্তিতে শহরবাসী

ছবি : বাসস

বাগেরহাট, ২৯ জুন, ২০২৫ (বাসস) : টানা ৬ দিনের  বৃষ্টি আর ভৈরব নদীর জোয়ারের পানিতে বগেরহাট পৌরসভা সহ শহরতলীর পুরো এলাকা তলিয়ে গেছে। 

এতে ভোগান্তিতে শহরবাসী।  যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন এবং বস্তী সহ বাড়ি ঘরে পানি উঠায় কষ্টে  পড়েছে মানুষ।
জেলা শহরের দড়াটানা সেতু থেকে মুনিগঞ্জ সেতু জুড়ে পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার অলি গলি  পানিতে তলিয়ে গেছে।ফলপট্রি, শালতলা,রাহাতের ও সাধনার মোড়, হাসপাতাল, মেইন বাজার সড়ক ধরে বৃষ্টির পানি নিস্কাষনের অভাবে দারুন ভোগান্তির শিকার হাজার হাজার বাড়ি ঘর ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।

পাশাপাশি ভৈরব নদীর জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত পুরো শহর, শহরতলীর পুরো এলাকার চিত্রটি দুই দশক ধরে অব্যাহত। স্লুইসগেট পুরাতন হয়ে তা ব্যবহারের অযোগ্য। এখানে নিয়মিত তদারকির কোন দক্ষ জনবল নেই।তাছাড়া বাগেরহাট প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা হলেও একশো কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ চাহিদার পরিবর্তে আছে পুরো শহর জুড়ে ছোট নালার মতো বিশ কিলোমিটার। তা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে পুরো বছর ময়লা আবর্জনায় ভরে থাকার প্রেক্ষিতে একটু বৃষ্টি হলে আর জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে পুরো শহরের ব্যাবাসায়ি প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর আর শহরের শত কিলোমিটার খানাখন্দ রাস্তা।

পৌরসভার বাসিন্দা,ব্যবসায়ী, রিকশা ইজিবাইক চালকদের অভিযোগ তারা নিয়মিত পৌরকর,লাইসেন্স  নবায়নের স্থলে প্রতিবছর চাপিয়ে দেয়া  এককালীন মোটা অংকের টাকা পরিশোধ করলেও পাচ্ছেন না কোন নাগরিক সুবিধা। এই বর্ষা আর জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত শহরের খারদ্বার,বাসাবাটি,হরিনখানা,নাগেরবাজার, মুনিগঞ্জ কেবি এলাকায় বসবাসরত মানুষের যেন ভোগান্তির শেষ নেই।

‎‎শাক বিক্রেতা শ্যাম বাসসকে জানান দুই দশকেরও বেশি বাজারে শাক সবজি বিক্রি করে জীবন জিবিকা নির্বাহ করলেও আমাদের চিন্তা কেউ করেনা। এ অবস্থায় ঘরে বসে অনাহারে দিনানিপাত করতে হয়।

কসমেটিকস ব্যাবসায়ী শংকর বাবু জানান, বর্ষা হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় যা দেখার কেউ নেই।সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে শহরের সকল অলিগলিতে পথচারীদের যাবার কোন সুযোগ নেই

বাগেরহাট চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি শেখ শাহেদ আলি রবি  বাসস কে জানান,  বর্ষাকালে শহরে কোথাও হাটু কোথাও কোমড় সমান পানি এ দৃশ্য যেন এখন নিত্যকার ঘটনা।তিনি আরও জানান,ওয়াপদা রহমানিয়া স্কুলের খাল,নাগেরবাজার মন্দির খাল,নাগেরবাজার অজিয়র সড়ক বালিয়ার খাল,নাগেরবাড়ির খাল, হরিনখানার খাল,হাড়িখালি সহ ৬ টি খালের উভয় পার্শ্বজুড়ে  অবৈধ দখল স্থাপনায় খালগুলো বেদখল হওয়ায় পুরো শহরের অবস্থা চরমে। তিনি অবিলম্বে এই খাল পুন:খনন করে জলাবদ্ধতার নিরসনের কথা বলেন।

বাগেরহাট পৌরসভার  নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাসুম বাসসকে জানান, ইতোমধ্যে বর্ষা ও জোয়ারের পানি দ্রুত নিস্কাষনের জন্য নদীমুখি ড্রেনের মাথায় ১০ টি ক্যাপ লাগানো হয়েছে। আর যা যা প্রয়োজন হবে তা অতিদ্রুততার সঙ্গে পরিকল্পনা মাফিক  নিস্কাষনের জন্য গেটগুলো মেরামত ও স্লুইস গেট পুনঃসংস্কার কার্যক্রম  প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান।