বাসস
  ২৯ জুন ২০২৫, ১৩:২২

কোরাল মাছ গবেষণায় সাফল্য : উপকূলে সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে পবিপ্রবি

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের কোরাল মাছ চাষে সাফল্য সম্ভাবনার দুয়ার উন্মুক্ত করেছে। ছবি : বাসস

পটুয়াখালী, ২৯ জুন, ২০২৫ (বাসস) : পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের উদ্যোগে বাস্তবায়িত কোরাল মাছ চাষ বিষয়ক গবেষণা প্রকল্পের সমাপনী সেমিনার শনিবার কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সামুদ্রিক শৈবাল সহযোগে কৃত্রিম খাদ্যের মাধ্যমে কোরাল মাছ উৎপাদন’ শীর্ষক প্রকল্পের সাফল্য এ আয়োজনে তুলে ধরা হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের পরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পবিপ্রবির মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সাজেদুল হক, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম এবং উপ-প্রকল্প পরিচালক এস. এম. আজহারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রকল্প প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক।

সেমিনারে জানানো হয়, থাইল্যান্ড থেকে আমদানি করা কোরাল মাছের পোনাকে প্রাকৃতিক শৈবাল মিশ্রিত কৃত্রিম খাদ্য দিনে দু’বার খাওয়ালে বছরে মাছের ওজন ২৩.৫ কেজি পর্যন্ত বাড়ে। 

গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যে ১০ শতাংশ শৈবাল মিশ্রণেই সর্বোচ্চ উৎপাদন সম্ভব হয়। ২৫০ জন চাষিকে প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সরবরাহের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, মূল্যবান সামুদ্রিক প্রজাতি কোরাল মাছকে স্থানীয়ভাবে চাষোপযোগী করা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই গবেষণা উপকূলীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এবং দেশের পুষ্টি নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

সুফলভোগী চাষি আনোয়ার হোসেন জানান, প্রশিক্ষণ নিয়ে কৃত্রিম খাদ্যে ৪ কেজি পর্যন্ত কোরাল মাছ উৎপাদনে সফল হয়েছি, যা অর্থনৈতিকভাবেও লাভজনক।

সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন এবং বিভিন্ন এলাকার চাষিরা। আলোচনার শেষে কোরাল মাছ চাষ বিষয়ক লিফলেটের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।