শিরোনাম
আসাদুজ্জামান
সাতক্ষীরা, ৪ জুন ২০২৫ (বাসস): জেলায় শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। আর মাত্র তিনদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আযহা, কোরবানির ঈদ। ক্রেতা- বিক্রেতায় হাট সরগরম। দরদাম করে কোরবানির পশু কিনছেন ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ এবার পশুর দাম বেশি। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, এবার কেনা-বেচা কম, বরং গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় তারা লোকসানের আশঙ্কায় আছেন।
সাতক্ষীরার সবচেয়ে বড় গবাদি পশুর হাট সদর উপজেলার আবাদের হাট, জেলার দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহত্তম হাট যথাক্রমে দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ও তালা উপজেলার পাটকেলঘাটাতেও একই অবস্থা।
সরেজমিন জানা গেছে, জেলার সবচেয়ে বড় গরুর হাট আবাদের হাটে গরু বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে।
পাটকেলঘাটা হাটে বিনেরপোতা এলাকা থেকে গরু কিনতে আসা মাহতাবউদ্দীন জানান, ৩ মণের বেশি মাংস হবেনা, এমন গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। অথচ এ গরুর দাম হতে পারে সর্বোচ্চ ৯০ হাজার টাকা।
গরুর ব্যাপারী আরশেদুল ইসলাম জানান, তিনি ১০টি মাঝারি সাইজের গরু নিয়ে হাটে এসেছিলেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪টি বিক্রি করতে পেরেছেন।
নিজ খামার থেকে আবাদের হাটে গরু নিয়ে আসা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাগুরা এলাকার আমিনুর রহমান জানান, গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে। বিচালি, কুড়া, খৈলসহ সব জিনিসের দাম কয়েকবছরের মধ্যে দ্বিগুন হয়েছে।
আবাদের হাটের ইজারাদার ফারুক রহমান জানান, পশুর হাটে ক্রেতারা আসছেন, কোরবানির জন্য গরুসহ বিভিন্ন গবাদি পশু দেখছেন, দারদাম করছেন। ছোট গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে, বড় গরুর ক্রেতা কম।
এদিকে, সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী পয়েন্টগুলো দিয়ে ভারত গরু আসা বন্ধ থাকায় জেলায় বেড়েছে খামার ও খামারীদের সংখ্যা। দুইবছরের ব্যবধানে ১০ হাজার খামারের বিপরীতে খামার হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার। ফলে জেলায় বেড়েছে গবাদি পশুর সংখ্যা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার কোরবানির জন্য ১ লাখ ৬০৬টি গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে। তবে চাহিদা রয়েছে ৮৫ হাজার ৩১৮ টি পশুর। উদ্বৃত্ত রয়েছে ১৫ হাজার ২৮৮টি পশু। জেলায় এবার স্থায়ী হাট বসানো হয়েছে ১১টি। এছাড়া বেশ কিছু অস্থায়ী হাট রয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ বিশ্বাস জানান, সাতক্ষীরার পশুর হাট গুলোতে ১৫টি মেডিকেল টীম কাজ করছে যাতে অসুস্থ পশু কেউ বিক্রি করতে না পারে। এছাড়া বাজার মনিটরিং করার জন্য জেলা প্রশাসনের ৯ সদস্যের একটি টিম রয়েছে। ক্রেতা- বিক্রেতাদের সুবিধার্থে পশুর হাটগুলোতে রয়েছে ব্যাংকিং ব্যবস্থা।