বাসস
  ০৮ মে ২০২৫, ১৮:৩৮

সরকারি তিনটি প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক 

ঢাকা, ৮মে, ২০২৫ (বাসস) : রাজধানীর তিনটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি ও হয়রানির অভিযোগে আজ পৃথক অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। অভিযানে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম, দায়িত্বে অবহেলা ও দুর্নীতির প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক।

আজ বৃহস্পতিবার দুদকের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

দুদক জানায়, প্রথম অভিযানটি পরিচালিত হয় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ‘গৃহায়ন ধানমন্ডি (১ম পর্যায়)’ প্রকল্পে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পরিচালিত অভিযানে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার সড়ক নং-১৩ (নতুন-৬/এ), বাড়ি নং-৭১১ (নতুন-৬৩)-এ নির্মিত ১৮টি ফ্ল্যাটের মধ্যে ১২টি সরকারি ও ছয়টি বেসরকারি কোটায় বরাদ্দযোগ্য থাকলেও বরাদ্দে অনৈতিকতা রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ মেলে। অভিযানে এনফোর্সমেন্ট টিম জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে, যা পর্যালোচনার পর কমিশনে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আকারে জমা দেওয়া হবে।

দ্বিতীয় অভিযানটি পরিচালিত হয় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডে(ব্যানবেইস), যেখানে অভিযোগ রয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা তাদের প্রাপ্য পেনশনের চেক যথাসময়ে না পেয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অভিযানকালে বোর্ডের পরিচালক জানান, অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তবে তদন্তে অপেক্ষমাণ আবেদনের রেকর্ডপত্র যাচাই করে কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলা এবং হয়রানির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযানে সংশ্লিষ্ট রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়, যা বিশ্লেষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তৃতীয় অভিযানটি পরিচালিত হয় কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে। অভিযানে লাম সাম গ্রান্টের আওতায় অনুমোদিত ২৪টি প্রকল্পসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্পে অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। সরকারি ক্রয় বিধিমালা (পিপিআর-২০০৮) অনুসরণ না করে প্রকল্প অনুমোদনের পাশাপাশি ক্ষমতার অপব্যবহার করে পছন্দের ব্যক্তিকে দায়িত্ব প্রদান এবং জনবল নিয়োগ নীতিমালায় পরিবর্তনের মাধ্যমে স্বজনপ্রীতির অভিযোগেরও প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযানে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।

তিনটি অভিযানের ক্ষেত্রেই এনফোর্সমেন্ট টিম প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে কমিশনের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেবে।