শিরোনাম
ঢাকা, ৮ মে, ২০২৫ (বাসস) : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
এ উপলক্ষ্যে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম (সিরাজ সালেকিন) অনুষ্ঠানে ‘রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন। এছাড়া, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান আলোচনায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, রবীন্দ্রনাথ-এর চর্চা সব সময়ের জন্যই প্রাসঙ্গিক। বিশ্বকবির চিন্তাভাবনা, দর্শন ও সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে আমরা যত আলোচনা করব, তার প্রাসঙ্গিকতা ততই উজ্জ্বল হবে। এ ধরনের আলোচনার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম রবীন্দ্রনাথের জীবন-দর্শন, চিন্তা-ভাবনা ও সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে জানতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম মূল প্রবন্ধে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, জন্মসূত্রে তিনি কলকাতার মানুষ। পৈতৃক জমিদারি পরিচালনার লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশে আসেন। পরে এ দেশের মানুষের সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। সেসময় তার কলকাতা কেন্দ্রিক সাহিত্যকর্ম ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটে। এ দেশের মানুষ ও প্রকৃতির সঙ্গে তার আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হয়। এই সম্পর্কের ভিত্তিতে তিনি অসংখ্য সাহিত্যকর্ম রচনা করেন। ছোট গল্পসহ ‘সোনার তরী’ থেকে ‘ক্ষণিকা’ পর্যন্ত বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থে এর প্রমাণ পাওয়া যায়।
আলোচনা পর্ব শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগ ও নৃত্যকলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।