বাসস
  ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫২
আপডেট  : ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৭

দিনাজপুরে দেশের অন্যতম বৃহত্তর ঈদ জামাতের মুসল্লীদের জন্য বিশেষ ২টি ট্রেন চলবে

দিনাজপুর, ৫ এপ্রিল, ২০২৪ (বাসস): চলতি বছরের পবিত্র রমজান মাস শেষ পর্যায় । প্রায় সপ্তাহ খানেক পরই উদযাপিত হবে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের জামাতের জন্য পার্শবতী জেলাসহ দেশের দূরদূরান্ত থেকে আগত মুসল্লিদের জন্য ২ টি স্পেশাল ট্রেন সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মোঃ আব্দুল জব্বার গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রেলওয়ের বিভাগের মহাপরিচালকের নির্দেশন অনুযায়ী পশ্চিমাঞ্চল রেলের জেনারেল ম্যানেজার  ঈদের জামাতে শররক হওয়ার জন্য ঈদের দিন এ দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছেন। ঈদের দিন  সকাল ৬টায় পার্বতীপুর থেকে স্পেশাল ১৭ নম্বর ট্রেন ছাড়বে। জামাত শেষে দিনাজপুর স্টেশন থেকে স্পেশাল ১৮ নম্বর ট্রেন ছাড়বে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে। স্পেশাল ১৭ ও ১৮ নম্বর ট্রেন জেলার মন্মতপুর, চিরিরবন্দর ও কাওগাঁও স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিবে। স্পেশাল ১৯ নম্বর ট্রেন ঠাকুরগাঁও স্টেশন থেকে ছাড়বে ভোর ৫টায় এবং জামাত শেষে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে দিনাজপুর স্টেশন থেকে স্পেশাল ২০ নম্বর ট্রেন ছাড়বে। ১৯ ও ২০ নম্বর ট্রেন শিবগঞ্জ, পীরগঞ্জ, সেতাবগঞ্জ, মঙ্গলপুর ও কাঞ্চন জংশনে যাত্রা বিরতি দেবে।
রেলওয়ে বিভাগের সূত্রটি জানায়, , ১৭ ও ১৮ নম্বর ট্রেন কাঞ্চন কমিউটারের রেকে এবং ১৯ ও ২০ নম্বর ট্রেন দোলনচাঁপার রেকে চলবে বলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন।
দিনাজপুর গোর-এ শহীদ ঈদগাহ  মাঠ প্রস্তুতের দায়িত্বে নিয়োজিত দিনাজপুর শহর যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর  আশরাফুল ইসলাম রমজান,   প্রতি বছরের মতো এ বছরও এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ চলছে।  পাশাপাশি মুসল্লিদের সুষ্ঠুভাবে নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে  নতুন করে মাটি ভরাট, রং করা, ধোয়ামোছার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।   দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানের ঈদগাহ মাঠ নান্দনিক পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে । দিনাজপুর শহরে প্রায় ২২ একর আয়তনের গোর-এ-শহিদ বড় ময়দানের ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মিনারের সামনে হবে ঈদের জামাত। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকেই এ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে বড় কোনো মিম্বর ছিল না। গত ২০১৫ সালে স্থানীয় সংসদ সদস্য  ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম মিনার নির্মাণের পরিকল্পনা ও অর্থায়ন করেন। এরপর গত ২০১৭ সালে এ সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মাঠ  নির্মাণকাজ শেষ হয় ।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়