শিরোনাম
নেছার উদ্দিন
ঢাকা, ২৫ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে বিগত কয়েক বছরের বিভিন্ন গণ ও ছাত্র অধিকার প্রতিষ্ঠার এবং ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের অন্যতম হচ্ছেন আকরাম হুসাইন। তিনি বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র যুগ্ম সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকেই তিনি ছিলেন রাজনীতি সচেতন। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে সকল আন্দোলন-সংগ্রামে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়নের সময় থেকেই ছাত্র অধিকার পরিষদের একজন সংগঠক হিসেবে তিনি বিভিন্ন গণমুখি আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন।
আকরামের রাজনৈতিক পথচলা শুরুই হয় বিভিন্ন ছাত্র ও নাগরিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী গণঐক্য গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে। মানবাধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের পক্ষে সোচ্চার অবস্থান নেওয়ার ফলে ফ্যাসিবাদী সময়ে একাধিকবার গ্রেপ্তারের, অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি।
২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, মোদিবিরোধী প্রতিবাদ, ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন, এবং আবরার ফাহাদ হত্যার বিরুদ্ধে আন্দোলনসহ বিগত কয়েক বছরের প্রায় প্রতিটি আন্দোলনের সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর গঠিত ছয় সদস্যবিশিষ্ট লিঁয়াজো কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এই সমস্ত অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি আজও দেশের তরুণ প্রজন্মকে সংগঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একটি সহনশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ন্যায়ের ভিত্তিতে গঠিত সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যাশা করেন এবং জুলাই অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন বাসসের প্রতিবেদক নেছার উদ্দিন।
বাসস : গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছে তাদেরকেই বিগত ফ্যাসিবাদী সময়ে আমরা বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে দেখেছি। আপনাদের রাজনৈতিক জীবনের শুরুটা হয়েছে কীভাবে?
আকরাম হুসাইন : আমরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ একেবারে মরুভূমির মতো ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্ত চিন্তা, শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক চর্চার কোন ধরনের কোন পরিবেশ ছিল না।
আওয়ামী লীগের নির্যাতন, নিষ্পেষণের কারণে আমাদের রাজনৈতিক জীবনের পরিবর্তন আনার একটা তাড়না ছিল। এ সময় বাংলাদেশে এক ধরণের ট্যাগের রাজনীতি চলতে দেখা যায়। যার মাধ্যমে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করা হতো। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমাদের এই গ্রুপের মধ্যে একটা সমন্বয় ছিল। সে থেকে
আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক চিন্তাগত ঐক্য তৈরি হয়। আর সেই চিন্তাগত ঐক্যের কারণে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের দিকে যাই। ২০১৬ সালের পর থেকে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগবিরোধী যত আন্দোলন হয়েছে সকল আন্দোলনে আমরা একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছি। এবারও শেখ হাসিনাবিরোধী আন্দোলন যখন শুরু হয় তখনও আমরা এক ধরণের দূরত্ব বজায় রেখে একজন আরেকজনের সাথে যোগাযোগ করেছি। আমাদের মধ্যে কোন চিন্তাগত দূরত্ব তৈরি হয়নি।
বাসস : আপনাদের ছাত্র নেতৃবৃন্দের মধ্যে যোগাযোগ ও একই রাজনৈতিক চিন্তার মানুষরা একত্রিত হয়েছেন কীভাবে?
আকরাম হুসাইন : পাঠচক্রের মাধ্যমে আমাদের এই গ্রুপের একেকজনের সাথে একেক সময় পরিচয় হয়।
তখন ক্যাম্পাসে এক ধরণের অমানবিক অবস্থা বিরাজ করতো। ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা সবাই কমবেশি একত্রিত হই। সে সময় আন্দোলনের প্রথম সারির নেতারা গ্রেপ্তার হওয়ার পর ওই আন্দোলন নাহিদ ইসলামসহ আমরা পেছন থেকে চালিয়ে নিয়েছি। ২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনেও আমাদের এই গ্রুপট ভূমিকা রেখেছে। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে সবচেয়ে বড় যে ইভেন্টটি ছিল সেই ইভেন্টটিও নাহিদ ইসলামের করা। এখন অনেকেই বলার চেষ্টা করেন যে, আমরা শুধুমাত্র জুলাই আন্দোলন করেছি। কিন্তু এটি সত্য নয়। বাংলাদেশের বিগত ফ্যাসিবাদী সময়ে যতগুলো বড় বড় আন্দোলন হয়েছে সবগুলো আন্দোলন আমাদের এই গ্রুপের হাত ধরেই হয়েছে। এমন না যে আমরা একাই করেছি।
আমাদের সাথে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সবাই কমবেশি যুক্ত ছিল। সেখানে শিবির, ছাত্রদল ও বাম সংগঠনের নেতারা যুক্ত ছিল।
বাসস : বিগত সময়ে আমরা দেখেছি অনেক আন্দোলন সংগ্রাম হলেও সেগুলো একটি পর্যায়ে যেয়ে স্থবির হয়ে যেত। সাধারণ মানুষের স্বতঃস্পূর্ত অংশগ্রহণ কম থাকায় এমনটা হতো। কিন্তু এবার আন্দোলনে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র দেখা গেল। এ বিষয়ে আপনারা ভাবনা কী?
আকরাম হুসাইন : এই আন্দোলন থেকে আমাদের ফিরে আসার আর কোন সুযোগ ছিল না। হাসিনা সরকার দেশকে এমন অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল যে, জনগণেরও দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল । জনগণের এই আন্দোলন থেকে বের হয়ে আসার কোন উপায় ছিল না। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ বিরোধী রাজনীতি আমরা সবসময় করে গেছি। আমরা এটাকে মনেপ্রাণে ধারণ করতাম। আন্দোলনের সময়ে প্রথম সারির সবাইকে নানা ধরনের লোভনীয় প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তা কেউই শেখ হাসিনার ওই ট্র্যাপে পা দেয়নি। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের জনগণের কাছে আমরা হাইলি কমিটেড। আমরা সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের জনগণের জন্য রাজনীতি করতে চেয়েছি। সে জন্য আমরা শেখ হাসিনার কাছে বিক্রি হইনি। আমরা যদি হুট করে আন্দোলনে আসতাম তাহলে আমরা আন্দোলন থেকে সরে যেতাম। আমরা বাংলাদেশে রাজনীতি করবো বলেই আমরা একেকজন একেকভাবে তৈরি হয়ে উঠছিলাম ক্যাম্পাস জীবনের শুরু থেকেই। কেউ সাংস্কৃতিক অঙ্গন নিয়ে, কেউ লেখালেখি নিয়ে আবার কেউবা মাঠের রাজনীতি। এভাবে আমরা এগিয়েছি। সে জন্যই শেখ হাসিনা আমাদের কখনো কিনতে পারেনি ।
বাসস : আপনি ক্যাম্পাসের রাজনীতি থেকে বের হয়েছেন অভ্যুত্থানের অনেক আগে। সেক্ষেত্রে অভ্যুত্থানের এই সময়টায় আপনি কোন পর্যায়ে কীভাবে যুক্ত হয়েছেন?
আকরাম হুসাইন : ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে আসলেও ক্যাম্পাসের রাজনীতির সাথে আমার সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল। আন্দোলনের শুরু থেকেই ছাত্র নেতাদের সাথে যোগাযোগ ছিল। আন্দোলনের প্রতিটা মুহূর্তের খোঁজ খবর রাখতাম। আন্দোলনের সে সময়ে সামনে না এসে পেছনে থেকে কাজ করার চেষ্টা করেছি। পেছন থেকে বিভিন্ন লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে সবাইকে এক জায়গায় নিয়ে আসার চেষ্টা করেছি ।
এসব করেছি শুরু থেকেই। কেননা সবার সম্মিলিত চেষ্টা ছাড়া বড় কিছু করা সম্ভব নয়। যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এক্টিভিস্টের করেন করেন, তাদেরকে একত্রিত করার কাজ করেছি আন্দোলনের শুরু থেকেই।
বাসস : ৪ আগস্ট আপনি নাহিদ ইসলামকে নিয়ে শাহবাগে এসেছিলেন। সেদিনের বিষয়ে কিছু বলুন ।
আকরাম হুসাইন : আমরা সে সময় এমন এক জায়গায় চলে এসেছিলাম যখন শেখ হাসিনার পতন অনিবার্য হয়ে উঠেছিল। যার কারণে ওই সময়টা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ছিল। কেননা সে সময়ে ক্ষমতায় থাকার জন্য যা কিছু করার ছিল তার সবই করেছে শেখ হাসিনা। ১৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনার পর যখন ছাত্রলীগ ক্যাম্পাস ছাড়া হয় তখনই আমরা বুঝে নিয়েছি যে, ছাত্রলীগের পক্ষে ক্যাম্পাসে ফিরে আসা আর অসম্ভব। ৩ আগস্ট রাতে আমি নাহিদ ইসলামসহ কয়েকজন এক বাসাতেই ছিলাম। ওই বাসাটা ছিল বনশ্রীতে। পরদিন ৪ আগস্ট আমি, নাহিদ ও নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী সিএনজি করে শাহবাগে আসি। সে সময় খুবই ভয়ঙ্কর একটি পরিবেশ বিরাজ করছিল ঢাকা শহরে। শাহবাগ আসার আগ পর্যন্ত আমরা প্রচন্ড ভয়ের মধ্যে ছিলাম। রাস্তার কোন গ্রুপ ছাত্রদের আর কোনটা ছাত্রলীগের এটা বুঝতে পারছিলাম না আমরা। আন্দোলনকারীরা যখনই দেখছিল নাহিদ ইসলাম তখন গাড়ি ছেড়ে দিচ্ছিল। শাহবাগে নাহিদ বক্তব্য দেওয়ার সময়েও আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল, ৬ তারিখ লং মার্চ করব। কিন্তু শাহবাগে থাকতেই মাহফুজ ভাইয়ের সাথে আমার কথা হয়। উনি বলছিলেন যে, সরকার তো ইন্টারনেট আবারও বন্ধ করে দিবে।
সেখানে দাঁড়িয়ে আলাপ করেই সিদ্ধান্ত হয় লং মার্চ একদিন এগিয়ে নিয়ে আসব। তখন আসিফ লং মার্চ একদিন এগিয়ে আনার ঘোষণা দেয়।
বাসস : অভ্যুত্থানের নেতাদের গুম হওয়ার বিষয়ে কিছু বলুন ।
আকরাম হুসাইন : নাহিদ ইসলাম গুম হওয়ার আগের দিন আমার সাথে ছিল। সেদিন রাতে দুই-তিন ঘন্টার ব্যবধানে আমাদের বেশ কয়েকবার জায়গা পরিবর্তন করতে হয়েছে। এক ধরণের ভয়ের মধ্যে ছিলাম সেদিন রাতে। নাহিদ আমার সাথে থাকাকালীন নিরাপত্তা বাহিনী থেকে ফোন করে তাকে মোটা অঙ্কের অফার দেওয়া হয়েছিল। তখন নাহিদের যে দৃঢ়তা দেখেছি তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে নাহিদের রিপ্লাই টা এমন ছিল যে, আপনারা প্রয়োজনে আমাকে মেরে ফেলেন তবুও আমি আপস করব না। নাহিদ ইসলামের এই দৃঢ়তা আগামীর রাজনীতিতে নাহিদকে একশ’ বছর বাঁচিয়ে রাখবে। সেদিন রাতে নাহিদ আমার বাসায় যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন বন্ধু হল ছেড়ে আমার বাসায় উঠেছিল। সকাল বেলা উঠে তারা নাহিদকে দেখে মোটামুটি ভয় পেয়ে যায়। তাদের ভয়ের কারণ ছিল, কেননা গোয়েন্দা সংস্থা থেকে শুরু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নাহিদকে খুঁজছিল।
বাসস : মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকে অনেকেই মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায়। এ বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কী?
আকরাম হুসাইন : আমরা শুরু থেকেই বলে আসছিলাম, ৭১, ২৪, ৪৭ আমাদের একেকটা সংগ্রাম জাতি হিসেবে আমাদের এগিয়ে রেখেছে। চব্বিশের সংগ্রামের মাধ্যমে সর্বপ্রথম মুসলমানরা এখানে ভুমি পেল। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা এখানে একটি রাষ্ট্র পেলাম। চব্বিশের ভেতর দিয়ে আমরা ফ্যাসিবাদ মুক্ত নতুন স্বাধীনতা পেলাম। আমাদের ক্ষেত্রে একেকটা লড়াই একেকটার সাথে কানেক্টেড। সাতচল্লিমের সংগ্রাম না হলে কখনো ৭১ হতো না। ৭১ না হলে কখনো ২৪ হতো না। যারা এগুলোর কোনটাকে খাটো করে তারা নিজেদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে।
বাসস : নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের গণঅভ্যুত্থানের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল তার বাস্তবায়ন হচ্ছে কী না? এক্ষেত্রে আপনি কী মনে করেন?
আকরাম হুসাইন : গণঅভ্যুত্থানের আমাদের যে আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল সে অনুযায়ী কাজ হয়নি। আবার যে একদমই হয়নি বিষয়টা এমনও না। পৃথীবীর বিভিন্ন দেশে দেখা গেছে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রে এক ধরনের অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করে। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর একটা বড় সময় ধরে বাংলাদেশ এক ধরণের অস্থিরতা ছিল। সে জায়গা থেকে এই সরকারের বড় সফলতা তারা রাষ্ট্রে স্ট্যাবিলিটি তৈরি করতে পেরেছে।
দীর্ঘদিন ধরে জেঁকে বসা মাফিয়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে ফাইট দেওয়ার জন্য যে ধরণের শক্তি প্রয়োগ করতে হয় এই সরকার তা করেনি। এই সরকারের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত একটা গুমের অভিযোগ করতে পারবে না কেউ।
রাজনৈতিক হয়রানির অভিযোগ কেউ করতে পারবে না। এগুলো এ সরকারের একটি বড় সফলতা। তবে সিন্ডিকেট ভাঙ্গার ক্ষেত্রে তেমন কোনো উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
আইনের শাসন প্রতিষ্টায় সরকার যদি কড়াকড়ি আরোপ না করে তবে সামনের দিনে আমরা যে বৈষম্যহীন সমাজের কথা বলছি তা কখনো প্রতিষ্ঠিত হবে না। আগামীর বাংলাদেশে আমরা যদি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে না পারি তবে কখনো বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারবো না।