বাসস
  ২৬ জুলাই ২০২৫, ১৪:০৬
আমার শহরে জুলাই অভ্যুত্থান

লক্ষ্মীপুরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও অবরোধ, চলে গণগ্রেফতার

ছবি : বাসস

লক্ষ্মীপুর, ২৬ জুলাই ২০২৫(বাসস) : কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এদিন লক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও কঠোর অবস্থান নেয়। 

২৬ জুলাই ২০২৪। বৃহস্পতিবার। সকাল ১০টা। লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের সামনে থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি মিছিল বের হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নেয়।

দুপুর ঠিক বারোটা। পুলিশের বাধা অতিক্রম করে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে একই জায়গায় আসতে শুরু করে আন্দোলনকারীরা। শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। শিক্ষার্থীদের মুহুর্মুহু শ্লোগানে লক্ষ্মীপুর শহর আন্দোলনের নগরীতে পরিণত হয়। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেয় লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ও মহিলা সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষার্থী। ফলে বিকেল তিনটা পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট। 

সকাল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলা বাস টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে সীমিত আকারে অটোরিকশা ও ছোট যানবাহন চলাচল করে। 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে বিকেল তিনটার দিকে সড়ক অবরোধ তুলে নিতে বাধ্য হন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সড়ক থেকে শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার না করলেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে চলে পুলিশের গণগ্রেফতার। ওইদিন শহর থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ-এর ১৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এই আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বাংলাদেশ ছাত্র শিবির ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও সক্রিয় ছিল।

জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরমান হোসাইন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করে বাসসকে বলেন, ‘প্রতিদিনই পুলিশের গণগ্রেফতার এড়িয়ে কোনো না কোনোভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাই। কিন্তু একদিনও ঘরে থাকতে পারিনি। যেখানে থাকতাম, সেখানেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করতো। তারপর ও আন্দোলন থেমে থাকেনি।’