বাসস
  ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:২৬
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬:৩৯

শঙ্কার মধ্যে বিজয়ের আনন্দ ফিকে হয়ে যায় : মাহমুদুর রহমান মান্না

ফাইল ছবি

ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) :  নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, যে কোন বিজয়ের মূল লক্ষ্য হলো সমাজের প্রগতি, অগ্রগতি। সমাজের যে সকল পশ্চাৎপদতা রয়েছে, সেটা গণতন্ত্র, অর্থনীতি কিংবা জীবনবোধ সে যাই হোক না কোন প্রতিটি অভ্যুত্থান, প্রতিটি বিজয় শেষ পর্যন্ত সমাজের সকলের মুক্তির কথা বলে। সেই হিসেবে আমাদের ৭১ এর বিজয়টাও পরিপূর্ণ হয়নি। এমনকি, কোন বিজয়ই শেষ পর্যন্ত ওই অর্থে পরিপূর্ণ হয় না, কারণ, যত সময় যায় ততই নানা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে নতুন নতুন প্রশ্ন ও  সমস্যা সামনে আসে।  সেগুলোকে আমরা ওই আগের বিজয়ের স্পিরিটে সমাধানের চেষ্টায় এগিয়ে যেতে থাকি। তবে তা পুরোপুরি আর সমাধান আর হয় না।

জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসস-এর সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জাতির আকাঙ্ক্ষা ছিল এই লড়াই যেন চূড়ান্ত লড়াই হয়, যাতে আমরা একটা সমাজ পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাই। কিন্তু নয় মাস যুদ্ধ শেষে যে বিজয় আমরা অর্জন করেছিলাম, সময়ের ফাঁক-ফোকরে তা ম্লান হয়ে গেছে।

’৭১-এর ধারাবাহিকতা হলো ‘২৪, এ কথা উল্লেখ করে মান্না বলেন, ১৯৭১ সালের সমতা, মর্যাদা ও ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষা ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নতুনভাবে নিশ্চিত হয়েছে। মুজিববাদ ’৭১-কে ভারতীয় ন্যারেটিভে অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব বিসর্জনের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ’২৪ সেই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনাকে পুনরুদ্ধার করেছে।

তিনি বলেন, ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে আমরা নতুন বিজয় পেয়েছি। স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটা অসাধারণ এবং অভূতপূর্ব লড়াইয়ে আমরা জয়ী হয়েছি। তবে ৭১ এর মতো এবারো আমরা বিজয়ের স্বাদ পরিপূর্ণ ভোগ করতে পারিনি। কারণ, প্রতিনিয়ত নতুন আঙ্গিকে আমাদের সামনে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ এসে হাজির হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম বড় বিষয় হচ্ছে- গণতান্ত্রিক উত্তরণের মাধ্যমে পুনরায় বিজয় অর্জন, যা আমরা এখনো হাতের নাগালে ধরতে পারিনি। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই এই বড় চ্যালেঞ্জটি মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যেতে পারি। এই অভিপ্রায়ে সমগ্র জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ বটে।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সম্প্রতি ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপরে হামলা হয়েছে। আগামীকাল আমার ওপরে হবে না তার তো কোন গ্যারান্টি নেই। বোঝা যাচ্ছে না কি হবে! এই রাষ্ট্র কি আমাকে নিরাপত্তা দিতে পারবে? এমন শঙ্কার মধ্যে বিজয়ের আনন্দ আসলে ফিকে হয়ে যায়। তবুও ওভারপাস করে আমাদেরকে বিজয়ের জায়গায় পৌঁছাতে হবে। সেই লড়াইটাই এখন চলছে, চলবে।