শিরোনাম

ঢাকা, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ২০২৬ সালে দেশের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের নির্দেশ দিয়েছেন। বাড়তি চাহিদা মেটাতে নতুন কারখানা নির্মাণের কথাও বলেছেন তিনি। শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
সিউল থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানায়, শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে অস্ত্র উৎপাদনকারী কয়েকটি কারখানা পরিদর্শনকালে কিম এসব কথা বলেন। এসময় রাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র ও কামান বাহিনীর ভবিষ্যৎ পরিচালন চাহিদা পূরণে উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি বলেও জানান তিনি।
কিম আরও বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে উৎপাদন ক্ষমতা আরও বিস্তৃত করতে হবে। এ জন্য নতুন গোলাবারুদ উৎপাদন কারখানা স্থাপনেরও নির্দেশ দেন।
কেসিএনএর প্রতিবেদনে কিমকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, যুদ্ধ প্রতিরোধ সক্ষমতা জোরদারে ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলা উৎপাদন খাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, নিখুঁত আঘাতের সক্ষমতা বাড়ানো, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি এবং রাশিয়ায় সম্ভাব্য রপ্তানির আগে অস্ত্র পরীক্ষা করাই এর লক্ষ্য।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরও জানায়, অস্ত্র উৎপাদনকারী কারখানা পরিদর্শনের একদিন পরই একটি পারমাণবিক সাবমেরিন কারখানা ঘুরে দেখেন কিম। সেখানে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার নিজস্ব পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরির উদ্যোগকে ‘হুমকি’ হিসেবে উল্লেখ করে তা মোকাবিলার অঙ্গীকার করেন।
এই সফরে তাকে ‘পানির নিচের নতুন ধরনের গোপন অস্ত্র’ নিয়ে চলমান গবেষণার বিষয়েও অবহিত করা হয় বলে জানায় কেসিএনএ।
এর আগে কিম জাপান সাগরে নতুন ধরনের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন দূরপাল্লার আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ তদারকি করেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন কোরিয়ান ওয়ার্কার্স পার্টি আগামী ২০২৬ সালের শুরুতে প্রায় পাঁচ বছর পর প্রথম কংগ্রেস আয়োজন করতে যাচ্ছে। সেখানে পরবর্তী পাঁচ বছরের অর্থনৈতিক ও সামরিক উন্নয়ন পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।