শিরোনাম

ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : উত্তর কোরিয়া দুটি কৌশলগত দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। রোববার কোরীয় উপদ্বীপের পশ্চিমে পীত সাগরে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিদেশি হুমকির বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ প্রস্তুতি’ যাচাই করতেই এই মহড়া।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানায়, মহড়াটি সরাসরি তদারকি করেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।
তিনি দেশের পারমাণবিক যুদ্ধক্ষমতা ‘অসীম ও টেকসই’ উন্নয়নের আহ্বান জানান।
কেসিএনএ’র মতে, এই মহড়ার উদ্দেশ্য ছিল দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিটগুলোর ‘প্রতিআক্রমণ সক্ষমতা ও যুদ্ধদক্ষতা’ পর্যালোচনা করা।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দুই ঘণ্টারও বেশি সময় উড়ে নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।
প্রকাশিত ছবিতে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও লক্ষ্যভেদ করার দৃশ্য দেখা যায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জানিয়েছে, রোববার সকাল ৮ টায় পিয়ংইয়ংয়ের কাছে সুনান এলাকা থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উৎক্ষেপণ করা হয়।
কিম জং উন বলেন, পিয়ংইয়ং তার পারমাণবিক যুদ্ধক্ষমতা উন্নয়নে সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
সিউল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি’র এ খবর জানায়।
এর আগে নভেম্বরের শুরুতে উত্তর কোরিয়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়, যার এক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই অঞ্চল সফরে গিয়ে কিমের সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তবে পিয়ংইয়ং সেই প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি।
ওই সময়েই ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার পরমাণু চালিত সাবমেরিন নির্মাণ পরিকল্পনার অনুমোদন দেন। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া নিজেদের একটি পরমাণু সাবমেরিন প্রদর্শন করে।
কেসিএনএ জানায়, সিউলের পরমাণু সাবমেরিন উন্নয়নকে উত্তর কোরিয়া তাদের নিরাপত্তা ও সামুদ্রিক সার্বভৌমত্বের ‘গুরুতর লঙ্ঘন’ হিসেবে দেখছে।
এছাড়া, দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণুচালিত এ্যাটাক সাবমেরিন ইউএসএস গ্রিনভিল নোঙর করায়ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পিয়ংইয়ং।
সিউলের নর্থ কোরিয়া স্টাডিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ইয়াং মু-জিন বলেন, এই সব পদক্ষেপের জবাব হিসেবেই ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার পাল্লার এই ‘অ্যারো-টাইপ’ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র কোরীয় উপদ্বীপের পাশাপাশি জাপানে অবস্থানরত মার্কিন বাহিনীর ঘাঁটিতেও আঘাত হানতে সক্ষম।