বাসস
  ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:০৫

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ১ হাজার

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে আজ বৃহস্পতিবার প্রায় ১ হাজারে পৌঁছেছে। কয়েক লক্ষাধিক মানুষ এখনো সংকটে ভুগছে, আর ত্রাণ কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

ইন্দোনেশিয়া থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

দেশটির দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র আবদুল মুহারি জানান, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সুমাত্রা দ্বীপে সৃষ্ট বন্যায় বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৯০ জনে। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় দুর্যোগ। এখনো ২২০ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।

চলতি ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ক্রান্তীয় ঝড় ও মৌসুমি বৃষ্টিপাতে সুমাত্রার রেইনফরেস্ট থেকে শ্রীলঙ্কার পার্বত্য অঞ্চল পর্যন্ত ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যা দেখা দেয় এবং আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

২০০৪ সালের বিধ্বংসী সুনামির স্মৃতি বহনকারী সুমাত্রার আচেহ প্রদেশে মানুষ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছে। তবে, ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের গতি নিয়ে জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।

৩৯ বছর বয়সি শিয়ারুল বলেন, মানুষ জানে না যে, ‘তারা কার ওপর ভরসা করবে’। 

আরেক বাসিন্দা সারিউলিস (৩৬) বলেন, ‘বন্যার প্রায় ১৫ দিন পর প্রতিদিন আমরা শুধু ঘরের ভেতরটা পরিষ্কার করতে পারছি। বাইরে কাদা জমে থাকায় আর পরিষ্কার করা যাচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বেশিরভাগ মানুষ সরকারি সহায়তার ঘাটতি নিয়ে অভিযোগ করছেন। আমরা শুনে আসছি প্রদেশভিত্তিক বন্যা মোকাবিলা নাকি সম্ভব, কিন্তু আমাদের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ উল্টো। দুই সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও আমরা একই সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছি। অগ্রগতির কথা যদি বলেন, তা খুবই সামান্য। 

আচেহ প্রদেশের গভর্নর মুজাকির মুনাফ সাংবাদিকদের জানান, চলমান জরুরি প্রতিক্রিয়া আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো প্রয়োজন ‘পুনর্বাসন ও জরুরি অবকাঠামো মেরামতের জন্য।’ তবে সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন ওষুধের, কারণ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্প্রদায়গুলোতে ত্বকের রোগ, কাশি, চুলকানি এবং বন্যাজনিত অন্যান্য অসুখ দেখা দিচ্ছে।

দুর্যোগ-পরবর্তী পুনর্গঠনে ব্যয় হতে পারে ৩ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাওয়ার প্রস্তাব এখনো প্রত্যাখ্যান করেছে ইন্দোনেশিয়া সরকার।