শিরোনাম
ঢাকা, ১৬ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যায় গত ৪৮ ঘণ্টায় ২২৫ জন মারা গেছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলে ভারী মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে এমনটা হয়েছে বলে শনিবার দুর্যোগ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
ইসলামাবাদ থেকে এএফপি এ সংবাদ জানায়।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, মৃতদের মধ্যে ২১১ জনই পার্বত্য খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বাসিন্দা। এছাড়া পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে নয়জন এবং গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলের উত্তরে আরও পাঁচজন মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
আকস্মিক বন্যা ও ঘরবাড়ি ধসে বেশিরভাগ মানুষ মারা গেছেন এবং আরও ২১ জন আহত হয়েছেন।
আবহাওয়া বিভাগ আগামী কয়েক ঘণ্টার জন্য পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে এবং জনগণকে ‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থা’ নিতে আহ্বান জানিয়েছে।
প্রাদেশিক সরকার বুনের, বাজাউর, সোয়াত, শাংলা, মানসেহরা এবং বাটগ্রামের পাহাড়ি জেলাগুলোকে দুর্যোগ কবলিত এলাকা ঘোষণা করেছে।
এদিকে প্রাদেশিক উদ্ধার সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে যে প্রায় ২ হাজার উদ্ধারকর্মী ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার এবং নয়টি ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়োজিত রয়েছেন।
খাইবার পাখতুনখোয়ার উদ্ধার সংস্থার মুখপাত্র বিলাল আহমেদ ফয়েজি এএফপিকে বলেন, ‘বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত, ভূমিধস এবং রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যাওয়ায় ত্রাণ বিতরণে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ভারী যন্ত্রপাতি ও অ্যাম্বুলেন্স পরিবহণে।
তিনি আরও বলেন, অধিকাংশ এলাকায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় উদ্ধারকর্মীরা পায়ে হেঁটেই দুর্গম অঞ্চলে অভিযান চালাচ্ছেন। তারা বেঁচে থাকা মানুষদের সরিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন। তবে স্বজনদের মৃত্যু বা ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়ার কারণে খুব কম সংখ্যক মানুষ স্থানান্তরে রাজি হচ্ছেন।