বাসস
  ১৫ আগস্ট ২০২৫, ১২:১০

বিতর্কিত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন পরিকল্পনাকে সমর্থন করলেন ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী 

ঢাকা, ১৫ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বৃহস্পতিবার বিতর্কিত পশ্চিম তীরে ৩ হাজার ৪শ’ টি বাড়ি নির্মাণের পরিকল্পনাকে সমর্থন করেছেন। 

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি দেশের পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়ায় তিনি এই অঞ্চলটিকে সংযুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

এদিকে জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, ওই এলাকায় ইসরাইল বাড়িঘর নির্মাণ করলে, ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের আশা ‘চূর্ণবিচূর্ণ’ হয়ে যাবে।

জেরুজালেমের পূর্বে ই১ নামে পরিচিত সংবেদনশীল জমিতে বসতি নির্মাণের জন্য ইসরাইলের দীর্ঘদিনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক বিরোধিতার কারণে কয়েক দশক ধরে পরিকল্পনাটি স্থগিত রয়েছে।

পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অবৈধ বলে বিবেচিত হয়। যদিও সমালোচক এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সতর্ক করে বলেছে যে, প্রায় ১২ বর্গকিলোমিটার জমিতে নির্মাণ পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি সুসংলগ্ন ভবিষ্যতের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের আশাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

এই স্থানটি প্রাচীন শহর ও ইসরাইলি বসতি মালে আদুমিমের মাঝখানে অবস্থিত, যা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের সংযোগকারী রাস্তার কাছাকাছি। 

বেজালেল স্মোট্রিচ বলেছেন, যারা আজ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে চান, তাদের ইসরাইলের পক্ষ থেকে বসতি স্থাপনের মাধ্যমে এর জবাব দেওয়া হবে। 

তিনি ই১ অঞ্চলের বসতি সম্প্রসারণের পরিকল্পনার অগ্রগতি বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে একথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বসতি স্থাপন করে বাড়ি, পাড়া ও রাস্তা তৈরি করে ইহুদি পরিবারগুলো তাদের জীবন গড়ে তুলছে।

কট্টর-ডানপন্থী নেতা আরো বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ দিনে, আমি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রতি সেপ্টেম্বরের মধ্যে জুডিয়া ও সামেরিয়ায় ইসরাইলি সার্বভৌমত্ব প্রয়োগ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, এটা করা হলে দেশ ভাগ করার ধারণাটি চিরতরে ত্যাগ করতে হবে এবং ভণ্ড ইউরোপীয় নেতাদের (ফিলিস্তিনকে) স্বীকৃতি দেওয়ার মতো কিছুই আর অবশিষ্ট থাকবে না। 

ব্রিটেন ও ফ্রান্স সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই বছরের মধ্যেই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এই দেশগুলোর লক্ষ্য হলো দুই-রাষ্ট্র সমাধানকে টিকিয়ে রাখা। 

তারা মনে করে, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি এই সমাধানে পৌঁছানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।