বাসস
  ৩১ মে ২০২৫, ১১:৩৮

নাইজেরিয়ায় ইন্টারনেট জালিয়াতির দায়ে ১৫ জন বিদেশির কারাদণ্ড 

ঢাকা, ৩১ মে, ২০২৫ (বাসস) : নাইজেরিয়ার একটি আদালত শুক্রবার ১৫ জন এশীয় নাগরিককে ‘সাইবার-সন্ত্রাসবাদ এবং ইন্টারনেট জালিয়াতির’ দায়ে কারাদণ্ড দিয়েছে। জাতীয় দুর্নীতি দমন সংস্থা জানিয়েছে, এটি দেশের সবচেয়ে বড় মামলাগুলোর মধ্যে একটি। 

লাগোস থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

অর্থনৈতিক ও আর্থিক অপরাধ কমিশনের (ইএফসিসি) মুখপাত্র ডেলে ওয়েওয়ালে জানিয়েছেন, দোষ স্বীকার করার পর বাণিজ্যিক রাজধানী লাগোসে এগারো ফিলিপিনো, দুই চীনা, একজন মালয়েশিয়ান এবং একজন ইন্দোনেশিয়ানকে এক বছরের কারাদণ্ড এবং একই সাথে প্রত্যেককে এক মিলিয়ন নাইরা (প্রায় ৬৩০ মার্কিন ডলার) জরিমানা করা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে ‘পরিচয় গোপন এবং বিদেশি নাগরিক হিসেবে নিজেদেরকে উপস্থাপনের জন্য" তরুণ নাইজেরিয়ানদের নিয়োগের অভিযোগ আনা হয়েছিল।

ওয়েওয়ালে বলেন, ‘বিচারকরা দোষীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা ডিভাইস নাইজেরিয়ার ফেডারেল সরকারের কাছে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশও দিয়েছেন’।

আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়া ইন্টারনেট প্রতারকদের জন্য বিখ্যাত, যারা স্থানীয় ভাষায় ‘ইয়াহু বয়েজ’ নামে পরিচিত।

ইএফসিসি তরুণ অপরাধীরা যেখানে জালিয়াতি শিখেতো এমন বেশ কয়েকটি গোপন আস্তানা ধ্বংস করেছে।
সাইবার অপরাধ বিশেষজ্ঞরা আরো সতর্ক করে বলেছেন, বিদেশি ‘সাইবার অপরাধ সিন্ডিকেট’ দেশটির দুর্বল সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে কাজে লাগানোর জন্য এখানে দোকান স্থাপন করেছে। 

ইএফসিসি জানিয়েছে, বিদেশি চক্রগুলো ফিশিং কেলেঙ্কারির মাধ্যমে অনলাইনে শিকার খুঁজে বের করার জন্য নাইজেরিয়ান সহযোগীদের নিয়োগ করে, যেখানে আক্রমণকারীরা সাধারণত শিকারদের অর্থ স্থানান্তর করতে বা পাসওয়ার্ডের মতো সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করার জন্য প্রতারণা করার চেষ্টা করে।

সংস্থাটি জানিয়েছে, এই জালিয়াতিগুলোর বেশির ভাগেরই লক্ষ্য ছিল আমেরিকান, কানাডিয়ান, মেক্সিকান এবং ইউরোপীয়দের লক্ষ্য করে করা হতো।

ডিসেম্বরে, ইএফসিসি লাগোসের সমৃদ্ধ ভিক্টোরিয়া দ্বীপ এলাকায় এক অভিযানে ৭৯২ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। 

সংস্থাটি জানিয়েছে, সন্দেহভাজনদের মধ্যে কমপক্ষে ১৯২ জন বিদেশি নাগরিক ছিলেন। যাদের মধ্যে ১৪৮ জন চীনা। 

আরো কয়েক ডজন চীনা সন্দেহভাজনও একই ধরনের অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি।