বাসস
  ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:৫৫

তীব্র তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় জাতীয় জলবায়ু আশ্রয়কেন্দ্র নেটওয়ার্ক গড়বে স্পেন

ঢাকা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ক্রমবর্ধমান তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় স্পেন সরকার জাতীয় জলবায়ু আশ্রয়কেন্দ্র নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ।

মাদ্রিদ থেকে এএফপি এ কবর জানিয়েছে।

বুধবার মাদ্রিদে এক জলবায়ু সম্মেলনে তিনি বলেন, বিধ্বংসী খরা ও তাপপ্রবাহ এখন আর বিরল ঘটনা নয়। গ্রীষ্মে আলাদা কোন তাপপ্রবাহ নয়, বরং জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত একটানা দীর্ঘ তাপপ্রবাহের মুখে পড়তে হচ্ছে। এটিই এখন নতুন বাস্তবতা।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আগামী গ্রীষ্মের আগেই কেন্দ্রীয় প্রশাসনের অধীন সরকারি ভবনগুলো ব্যবহার করে সারা দেশে জলবায়ু আশ্রয়কেন্দ্রের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার কাতালোনিয়া ও বাস্ক অঞ্চলের মত কয়েকটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে আগে থেকেই গড়ে ওঠা আশ্রয়কেন্দ্র নেটওয়ার্কের সঙ্গে সমন্বয় করবে।

এ ছাড়া যেসব এলাকায় তাপের প্রভাব সবচেয়ে বেশি এবং যেখানে এ ধরনের সুবিধার প্রয়োজন বেশি, সেখানে আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপনে অর্থায়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।

কাতালোনিয়ার রাজধানী বার্সেলোনা এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। সেখানে লাইব্রেরি, স্কুলসহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন সরকারি ভবনে জলবায়ু আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।

স্পেনের জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা এএমইটির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর দেশটি ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ গ্রীষ্মকাল পার করেছে। ওই সময় গড় তাপমাত্রা ছিল ২৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এটি ২০২২ সালে রেকর্ড হওয়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৬১ সালে রেকর্ড শুরুর পর থেকে এটি সর্বোচ্চ।

উষ্ণ শরৎ মৌসুমের পর চলতি বছর স্পেনের ইতিহাসে তৃতীয় বা চতুর্থ উষ্ণতম বছর হতে পারে বলে মঙ্গলবার  সংবাদ সম্মেলনে জানান এএমইটির মুখপাত্র রুবেন দেল কাম্পো।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যে বলা হয়েছে, চলতি বছর ১৬ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্পেনে তাপজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ৩,৮৩২ জনের। এটি ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় ৮৭.৬ শতাংশ বেশি।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়, তা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। কারণ, খুব কম ক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ হিসেবে সরাসরি তাপের কথা নথিভুক্ত করা হয়।

তবে হিটস্ট্রোক ও পানিশূন্যতার মত তাৎক্ষণিক প্রভাব ছাড়াও তাপ হৃদ্রোগ, স্ট্রোক ও শ্বাসতন্ত্রের রোগসহ নানা প্রাণঘাতী স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে গেছে।