শিরোনাম
ঢাকা, ৩০ মে, ২০২৫ (বাসস): ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে একটি চুনাপাথর খনিতে শুক্রবার পাথর ধসে অন্তত আটজনের প্রাণহানি এবং ডজনখানেক লোক আহত হয়েছেন।
সিরেবন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
পশ্চিম জাভার গভর্নর দেদি মুলিয়াদির জানান, খনি তত্ত্বাবধানকারী সংস্থাটি বৈধভাবে কাজ করছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। পাথর ধসের পর তিনি খনিটি বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
দেদি বলেন, ‘আমি খনিটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পশ্চিম জাভা প্রদেশের সিরেবন শহরের খনিস্থলে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯ টায় আকস্মিকভাবে পাথর ভেঙে পড়লে সেখানে কর্মরত শ্রমিক এবং ভারী যন্ত্রপাতি চাপা পড়ে।
স্থানীয় পুলিশ প্রধান সুমার্নি বলেন, ‘আমরা এখন ক্ষতিগ্রস্তদের সরিয়ে নেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করছি। এখন পর্যন্ত আটজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং আরও ১২ জন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’
উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকতে পারে এমন আরও হতাহতদের খুঁজে বের করতে এখনও ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান চালাচ্ছেন। অনুসন্ধান প্রচেষ্টায় খননকারী মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবারের ঘটনাটি ছিল এই খনিতে দ্বিতীয়বারের মতো ধসের ঘটনা। ফেব্রুয়ারিতে খনির কিছু অংশ ধসে পড়েছিল, কিন্তু কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
খনিজ সমৃদ্ধ দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দ্বীপপুঞ্জ ইন্দোনেশিয়াজুড়ে প্রায়ই খনিতে দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে লাইসেন্সবিহীন স্থানে সুরক্ষা প্রোটোকল প্রায়শই উপেক্ষা করা হয়।
২০২৩ সালে মধ্য জাভাতে একটি অবৈধ সোনার খনিতে আটকা পড়ে আটজন শ্রমিক মারা যান।
গত বছরের জুলাই মাসে সুলাওয়েসির কেন্দ্রীয় দ্বীপে একটি অবৈধ সোনার খনির কাছে একটি প্রত্যন্ত গ্রামে ভূমিধসে অন্তত ২৩ জন মারা যান এবং ৩৫ জন নিখোঁজ হন।