শিরোনাম
ঢাকা, ৩০ মে, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কগুলোর বিরুদ্ধে দেওয়া আদালতের এক রায়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় শুক্রবার এশিয়ার শেয়ারবাজারে ব্যাপক দর পতন হয়েছে।
একদিন আগে বিচারপতিরা এসব শুল্ককে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছিলেন, তবে আপিল আদালতের সাময়িক স্থগিতাদেশ নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
হংকং থেকে এএফপি জানিয়েছে, বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই আইনি জটিলতা বিশ্ববাজারে অস্থিরতা বাড়িয়ে দেবে। যা ওয়াশিংটনের সঙ্গে অন্যান্য দেশের বাণিজ্য আলোচনা ব্যাহত করতে পারে।
যদিও আপাতত শুল্ক কার্যকর না থাকলেও বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়াতে পারে।
অনেকেই মনে করছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট শুল্ক কার্যকর করার জন্য বিকল্প পথ খুঁজে নিতে পারেন।
বুধবার মার্কিন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতের রায়ে ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ঘোষিত বেশিরভাগ শুল্ক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, তিনি তার কর্তৃত্ব লঙ্ঘন করেছেন। ট্রাম্প এই সিদ্ধান্তকে ‘ভয়াবহ’ বলে অভিহিত করেছেন এবং ‘দ্রুত ও সিদ্ধান্তমূলকভাবে’ চিরতরে প্রত্যাহার করা উচিত।
তিনি তার ট্রুথ সোস্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘পেছনের দরজার দালালদের আমাদের জাতিকে ধ্বংস করতে দেওয়া যাবে না।’
এছাড়া, ওয়াশিংটন ডিসির একটি ফেডারেল আদালতও কয়েকটি শুল্ককে অবৈধ ঘোষণা করেছে এবং প্রশাসনকে আপিল করার জন্য ১৪ দিনের সময় দিয়েছে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এই আইনি পরিস্থিতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যকার চলমান বাণিজ্য আলোচনা এবং ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে।
তবে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের পরিচালক কেভিন হ্যাসেট ফক্স বিজনেসকে বলেন, কিছু বিচারকের সিদ্ধান্ত নিয়ে দেখা দেওয়া অস্থিরতা আলোচনার ওপর প্রভাব ফেলবে না। তিনটি চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।’
ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের বিশ্লেষক রদ্রিগো ক্যাট্রিল বলেন, ‘ট্রাম্পের বাণিজ্য এজেন্ডা এখনো সচল। এই আইনি লড়াই শুধু আরো একটি অনিশ্চয়তার স্তর যোগ করেছে। প্রেসিডেন্টের হাতে এখনো শুল্ক আরোপের আরো পথ রয়েছে।’
তিনি আরো যোগ করেন, মার্কিন বাণিজ্য নীতিতে পরিবর্তন এবং এর সঙ্গে যুক্ত আইনি লড়াই বিনিয়োগ ও নিয়োগ সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলছে। একমাত্র নিশ্চিত বিষয় হলো, সামনে আরো অনিশ্চয়তা রয়েছে।
এদিকে, মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ‘ফক্স নিউজ’কে বলেন, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা বর্তমানে কিছুটা স্থগিত অবস্থায় রয়েছে। তিনি জানান, আলোচনার গভীরতা ও জটিলতার কারণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের মধ্যে সরাসরি আলোচনা প্রয়োজন হতে পারে।