বাসস
  ২৮ মে ২০২৫, ২৩:২৩

২০৩০ জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হতে যাচ্ছে  ইইউ: ইউরোপীয় কমিশন

প্রতীকী ছবি

ঢাকা, ২৮ মে, ২০২৫ (বাসস):  ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ ৫৫ শতাংশ কমানোর আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণে ব্যর্থ হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। পূর্বাভাস অনুযায়ী, নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ১ শতাংশ কম অর্জিত হবে।

ব্রাসেলস থেকে এএফপি জানায়, বুধবার প্রকাশিত চূড়ান্ত জাতীয় জ্বালানি ও জলবায়ু পরিকল্পনা (এনইসিপি) পর্যালোচনায় কমিশন জানায়, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বিদ্যমান ও পরিকল্পিত পদক্ষেপগুলো ১৯৯০ সালের তুলনায় নিঃসরণ প্রায় ৫৪ শতাংশ কমাতে পারবে, যদিও ইউরোপীয় জলবায়ু আইনে ২০৩০ সালের জন্য কমপক্ষে ৫৫ শতাংশ হ্রাসের লক্ষ্য নির্ধারিত রয়েছে।

উক্ত আইনের আওতায় ইইউ ২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু-নিরপেক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছে। এর অন্তর্বর্তী লক্ষ্য হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে নিঃসরণ ৫৫ শতাংশ কমানো।

কমিশন জানায়, যদিও সদস্য রাষ্ট্রগুলো তাদের লক্ষ্য আরও উচ্চতায় নিয়েছে, তবুও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে ঘাটতি রয়ে গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জ্বালানির দক্ষতা বৃদ্ধিতে ইইউ যথাক্রমে ৪২.৫ শতাংশ ও ১১.৭ শতাংশের ২০৩০ লক্ষ্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে, কিন্তু বিভিন্ন খাতজুড়ে অসমতা রয়ে গেছে।

‘এফোর্ট শেয়ারিং রেগুলেশন’-এর আওতাভুক্ত পরিবহন, ভবন ও কৃষিখাতে ২০০৫ সালের তুলনায় নিঃসরণ ৩৮ শতাংশ কমার সম্ভাবনা রয়েছে, যা নির্ধারিত ৪০ শতাংশ লক্ষ্যের নিচে।

এছাড়া, ভূমি ব্যবহার, ভূমির ব্যবহার পরিবর্তন ও বনজ খাতে (এলইউএলইউসিএফ) ৪৫ থেকে ৬০ মিলিয়ন টন কার্বন শোষণ ঘাটতির কথা বলা হয়েছে। কমিশন জানায়, ২০১৬-২০১৮ সালের গড়ের তুলনায় ২০৩০ সালের মধ্যে এই খাতে অতিরিক্ত ৪২ মিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড সমতুল্য নিঃসরণ হ্রাস করতে হবে—যার বিপরীতে বর্তমান ঘাটতি সেই লক্ষ্যমানের ১০০ থেকে ১৪০ শতাংশ।

২৩টি জাতীয় পরিকল্পনার মধ্যে ৫টি এখনো ‘এফোর্ট শেয়ারিং’ বাধ্যবাধকতায় ঘাটতি রাখছে। আর ভূমি ব্যবহার সংক্রান্ত লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছে মাত্র ৯টি সরকার।

কমিশন সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে কৃষিখাতে বরাদ্দ তহবিল ও রাষ্ট্রীয় সহায়তার নমনীয়তা ব্যবহার করে কার্বন শোষণ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।

এ ছাড়া, বেলজিয়াম, এস্তোনিয়া ও পোল্যান্ডকে তাদের চূড়ান্ত এনইসিপি অবিলম্বে জমা দিতে তাগিদ দিয়ে কমিশন বলেছে, ‘২০৪০ সালের একটি সুস্পষ্ট জলবায়ু লক্ষ্য এখনই নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে ২০৩০-পরবর্তী পদক্ষেপ ও বিনিয়োগ সঠিকভাবে পরিচালিত হয়।’