বাসস
  ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১:০৩

দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসায় ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে 

ঢাকা, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : হাসপাতালে দেরিতে চিকিৎসা নিতে আসার কারণেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার সুযোগ কমে যাচ্ছে এবং বেড়ে যাচ্ছে মৃত্যুর ঝুঁকি।

আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর।

তিনি বলেন, ‘রোগীরা অনেক সময় দেরিতে হাসপাতালে আসছেন। খারাপ অবস্থায় ভর্তি হচ্ছেন। ফলে চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ কমে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবার সচেতন হওয়া জরুরি। সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে বাড়িয়ে দিচ্ছে মৃত্যুর ঝুঁকি।’ 

আবু জাফর বলেন, রোগ চিহ্নিত হওয়ার শুরুতেই চিকিৎসা শুরু না হলে, অনেক সময় রোগ দ্রুত জটিল আকার ধারণ করে। বিশেষ করে শক, রক্তক্ষরণ ও অঙ্গ বিকলের মতো জটিলতা দেখা দিলে রোগীকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে।

তিনি বলেন, ‘চলতি বছর ২০-৩০ বছর বয়সি রোগীদের মধ্যে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি। এসব রোগীর অনেকেই জ্বর শুরু হওয়ার ছয়-সাত দিন পর হাসপাতালে ভর্তি হন এবং দু-তিন দিনের মধ্যেই মারা যান। আক্রান্ত শিশুদের মধ্যেও মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি দেখা যাচ্ছে।’

জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে ডা. আবু জাফর বলেন, জ্বর হলে দ্রুত ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো উচিত এবং অবহেলা করা ঠিক নয়। সময়মতো রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা শুরু না হলে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। যত ব্যবস্থাই নেয়া হোক না কেন, জনগণ যদি সচেতন না হয়, তাহলে ডেঙ্গুর মতো সংক্রামক রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া খুব কঠিন।

তিনি বলেন, চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ১১৩ জনের মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বেশিরভাগ রোগী মৃত্যুর আগে শকড্রোম, অঙ্গ বিকল বা জটিল উপসর্গে ভুগছিলেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী মারা গেছেন ডেঙ্গু শক সিনড্রোমের কারণে। 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর ৫৬ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে (ডিএসএস)। এছাড়া ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে জটিল উপসর্গে (ইডিএস)। এছাড়াও ডেঙ্গু হেমোরেজিক সিনড্রোমে (ডিএইচএস) একজনের মৃত্যু হয়েছে। ডিএসএস ও বিইডিএসের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের, অঙ্গ বিকলজনিত জটিলতা ও বহু অঙ্গ বিকলের কারণে ৫ জনের, হৃদযন্ত্রের শকে আক্রান্ত ডেঙ্গু রোগে মারা গেছেন ৬ জন।