শিরোনাম

ঢাকা, ১৫ নভেম্বর ২০২৫ (বাসস) : নারী কাবাডি বিশ্বকাপের জন্য ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ দল ঘোষণা করেছে কাবাডি ফেডারেশন। দলের অধিনায়ক মনোনীত হয়েছেন অভিজ্ঞ রূপালী আক্তার।
আজ জাতীয় কাবাডি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ বাংলাদেশ দল ঘোষনা করেন।
মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে ১৭-২৪ নভেম্বর পর্যন্ত নারী কাবাডি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় আসর অনুষ্ঠিত হবে। এবারের আসরে বাংলাদেশসহ ১১টি দল অংশ নিচ্ছে।
দলগুলো হলো : চাইনিজ তাইপে, ভারত জার্মানি, ইরান, কেনিয়া, নেপাল, পোল্যান্ড, থাইল্যান্ড, উগান্ডা, জাঞ্জিবার ও স্বাগতিক বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যেই দলগুলো বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছে।
আগামীকাল ম্যানেজার্স মিটিংয়ের পর বিশ্বকাপের ফিক্সচার চূড়ান্ত হবে।
বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দল কোচ আরদুজ্জামান মুন্সী ও শাহনাজ পারভীন মালেকার অধীনে সাভারের বিকেএসপিতে অনুশীলন সম্পন্ন করেছে। এখন অপেক্ষা মাঠের লড়াইয়ের।
বাংলাদেশ দলের কোচ আরদুজ্জামান মুন্সী বিশ্বকাপ উপলক্ষে প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেছেন, ‘আমরা নির্দিষ্ট লক্ষ্য সামনে রেখে অনুশীলন শুরু করেছিলাম। আমাদের উৎসাহ-উদ্দীপনা অনেক বেশি, অন্তত একটি পদক জয়ের আশায় আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা আশাবাদী যে ভালো একটি প্রদর্শনের মাধ্যমে কাবাডিতে দেশের অর্জনকে সমৃদ্ধ করতে পারব। অনুশীলনে আমাদের কোনো ত্রুটি ছিল না। শুরু থেকেই আমরা ধারাবাহিকভাবে অনুশীলন করে গেছি। এখন আমরা বিশ্বকাপের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুত।’
টুর্নামেন্টের অন্যতম শক্তিশালী দল ভারত। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের কোচ বলেন, ‘ভারত কাবাডিতে অনেক এগিয়ে আছে। এই মুহূর্তে তারা আমাদের নাগালের বাইরে। তবে ভারত ছাড়া অন্য সব দলকেই হারানোর মতো সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। যদিও সর্বশেষ আমরা নেপালের কাছে হেরেছি, থাইল্যান্ডের কাছেও হেরেছি। কিন্তু সর্বশেষ নারী এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে থাইল্যান্ডকে আমরা হারিয়েছি, আর সেই জয়ের মাধ্যমেই পদক অর্জন করেছি। চাইনিজ তাইপের কাছেও আমরা অতীতে হেরেছি, তাদেরকে হারানোর সক্ষমতাও আমাদের তৈরি হয়েছে।
ভারত ছাড়া যে কোনো দলকেই হারানোর সামর্থ্য আসলে আমাদের আছে। তাই আমরা পদকের আশা করছি। এখন বাকি সব সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
দলীয় অধিনায়ক রূপালী আক্তারও বিশ্বকাপে ভাল করার ব্যপারে আশাবাদী। বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ এই খেলোয়াড় বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে কাবাডি খেলছি, শুরুটা ২০০৯ সালে। বিশ্বকাপ দিয়েই ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছি। এমন আসরে অধিনায়ক হতে পেরে সত্যিই ভালো লাগছে। মজার বিষয় হলো, এ আসরেই আমি প্রথমবারের মতো দলকে নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছি। বিদায়ী আসরে আমার ওপর অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দেওয়ায় বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশন এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্বও অনেক। নিজের খেলা খেলতে হবে, আবার দলের সবাইকে নিয়েও পারফর্ম করতে হবে। সেরাটা দেওয়ার জন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। কে কিভাবে খেলবে- সেটাও বলতে হবে। আসলে অধিনায়কের দায়িত্ব অনেক বড়।’
রূপালী আরো বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই বিশ্বকাপের জন্য অনুশীলন করছি। আমাদের প্রস্তুতি ভালো। এত বড় টুর্নামেন্টে সবাই নিজেদের সেরাটা দিয়ে ভালো করার জন্য আসবে। সবগুলো দলই শক্তিশালী, বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচ সহজ হবে না। ভারত, ইরান, চাইনিজ তাইপে খুবই ভালো মানের দল। নেপাল ও থাইল্যান্ডও প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ দল।
আমরা প্রথম বিশ্বকাপে পঞ্চম স্থানে ছিলাম। এবার সে অবস্থান থেকেও ভালো কিছু করতে চাই।
বাংলাদেশ স্কোয়াড :
রূপালী আক্তার (অধিনায়ক), শ্রাবনী মল্লিক, বৃষ্টি বিশ্বাস, স্মৃতি আক্তার, রেখা আক্তারী, মেবি চাকমা, রূপালী আক্তার (জুনিয়র), আঞ্জুয়ারা রাত্রি, সুচরিতা চাকমা, খাদিজা খাতুন, লোবা আক্তার, ইয়াসমিন খানম, ইসরাত জাহান সাদিকা ও তাহরিম।
স্ট্যান্ডবাই খেলোয়াড় : আফরোজা ও লুম্বিনী চাকমা
কোচ: শাহনাজ পারভীন মালেকা ও আরদুজ্জামান মুন্সি
মেন্টর: বাদশা মিয়া
ম্যানেজার: আসাদুজ্জামান শাহীন
ফিটনেস কোচ: সুজিত