শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ জুলাই ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশে ফুটবল কিংবা ক্রিকেট যতটা জনপ্রিয় স্কোয়াশে হয়তো তেমনটা নেই, কিন্তু তরুণ স্কোয়াশ খেলোয়াড় নাবিলা তাসনিম বিশ্বাস করেন এদেশে স্কোয়াশের যথেষ্ঠ সম্ভাবনা রয়েছে। প্রয়োজন শুধুমাত্র যথাযথ সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা।
বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশনের (বিসিএফ) বর্তমান কমিটি এই খেলাটিকে এগিয়ে নেবার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় স্কোয়াশ খেলোয়াড়দের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি বিসিএফ পাকিস্তানী কোচের অধীনে নারীদের স্কোয়াশ কোচিং ক্যাম্প আয়োজন করেছে।
নাবিলা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন সেইদিন খুব বেশীদুরে নয় যেদিন অন্যান্য খেলার মত স্কোয়াশও জনপ্রিয়তা পাবে।
২০১১ সালে ঢাকায় জন্ম নেয়া নাবিলা মাত্র নয় বছর বয়সে শারীরিক শিক্ষক বাবার অনুপ্রেরণায় স্কোয়াশ খেলা শুরু করেন। ১৪ বছর বয়সী নাবিলা নির্ঝর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী।
প্রতিভাবান এই স্কোয়াশ খেলোয়াড় বর্তমানে ঘরের মাঠের আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টসহ আসন্ন এসএ গেমসকে সামনে রেখে স্থানীয় কোচের অধীনে অনুশীলন ক্যাম্পে রয়েছেন।
বাসস’কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে নাবিলা মর্যাদাপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে দেশের জন্য ভাল ফল উপহার দেবার লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন।
বাসস : ফুটবল ও ক্রিকেটের মত জনপ্রিয় খেলা রেখে স্কোয়াশের প্রতি কেন আগ্রহী হলেন?
নাবিলা : বাবার অনুপ্রেরণায় আমি ২০২০ সালে স্কোয়াশ খেলা শুরু করি। আমার বাবা একজন শারিরীক শিক্ষক এবং তিনিই আমাকে খেলাধুলায় নিয়ে এসেছেন। খেলা শুরুর পর আমার মধ্যে স্কোয়াশের প্রতি ভালবাসা জন্মায়। ধীরে ধীরে এই খেলাটি আমার হৃদয়ে স্থান করে নেয়। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আমি অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছি। আর তখনই আমার মনে হয়েছে এই খেলাটির জন্য আমি যোগ্য। বাংলাদেশেও এর অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সে কারনেই স্কোয়াশের প্রতি আমি আগ্রহী হয়ে উঠি।
বাসস : জাতীয় অর্জনগুলো সম্পর্কে কিছু বলুন।
নাবিলা : ২০২৪ সালে ৪র্থ জাতীয় স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশীপে আমি ব্যক্তিগত ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হই। ২০২৩ সালে ২য় বিজয় দিবস স্কোয়াশ টুর্ণামেন্টে উন্মুক্ত বিভাগে আমি রানার-আপ হয়েছি। একই বছর ২য় বাংলাদেশ যুব গেমসে একক ও দ্বৈতে স্বর্ণ পদক লাভ করি।
বাসস : আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলার কোন অভিজ্ঞতা আছে কি ?
নাবিলা : গত বছর নেপালে অনুষ্ঠিত এনএসআরএ ইন্টার ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নশীপে আমি বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছি। সেই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ টিম ইভেন্টে রানার্স-আপ ও নেপাল চ্যাম্পিয়ন হয়।
বাসস : ভবিষ্যতে স্কোয়াশকে কোন পর্যায়ে দেখতে চান ?
নাবিলা : সত্যি বলতে কি বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনালের (অব:) জিএম কামরুল ইসলাম স্যার যেভাবে স্কোয়াশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাতে এই খেলাটি খুব দ্রুতই উন্নতি করবে বলে আমরা আশাবাদী। কিন্তু এজন্য প্রথমত প্রয়োজন যথাযথ সমর্থন। বিশেষ করে আর্থিক সহযোগিতা এক্ষেত্রে খুবই জরুরী। কারন স্কোয়াশ এমন একটি খেলা যেখানে আর্থিক স্বচ্ছলতা ছাড়া সামনে এগিয়ে যাওয়া কঠিন। সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এদেশে স্কোয়াশ খুব দ্রুতই জনপ্রিয়তা লাভ করবে।
বাসস : আসন্ন এসএ গেমসে আপনার লক্ষ্য কি ?
নাবিলা : যেকোন বড় ইভেন্টেই প্রতিটি খেলোয়াড়ের সুনির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য থাকে। আমারও তেমন লক্ষ্য আছে। আর সেই লক্ষ্য অর্জনেই নিজেকে প্রস্তুত করে তুলছি। এসএ গেমসে ব্যক্তিগত কিংবা টিম ইভেন্টে দেশের জন্য অবশ্যই ভাল কিছু ফলাফলের জন্য নিজের সেরাটা দেবার চেষ্টা করবো।