শিরোনাম
ঢাকা, ১০ মে ২০২৫ (বাসস) : দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নতির জন্য তারুণ্যের উৎসব আয়োজন বর্তমান সরকারের একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে কাবাডি ফেডারেশনের (বিকেএফ) সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগ।
বাসসের সালে আলাপকালে সোহাগ এ সম্পর্কে বলেন, ‘আমি শুধু এটাই বলতে চাই যে দেশব্যাপী আয়োজিত তারুণ্যের উৎসব বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের এমন একটি সিদ্ধান্ত ছিল যা দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এই উৎসব ব্যপক সাড়া ফেলেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এই ধরনের উৎসবের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। কারন সরকার যদি প্রতি বছর এই ধরনের উৎসবের ব্যবস্থা করেন তবে সেটা আমাদের মত সংগঠকদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করার ক্ষেত্রকে আরো সহজ করে দিবে। সারা বছর ধরে আমরা ফেডারেশনের নানা কাজে ব্যস্ত থাকি। সে কারনে তৃণমূল থেকে প্রতিভা বের করে আনার জন্য সুনির্দিষ্ট কোন সময় বা পরিকল্পনা আমরা করতে পারিনা। অথচ একটি খেলাকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য এই ধরনের পদক্ষেপের বিকল্প নেই।
আমি বিশ্বাস করি সরকার যদি এই ধরনের তারুন্যের উৎসবের মাধ্যমে বছরব্যাপী খেলাধুলাকে মাঠে রাখে তাহলে সেটা কার্যত ফেডারেশনগুলোরই উপকারে আসবে। তখন সংগঠক হিসেবে আমাদের জন্যও সেসব খেলোয়াড়দের খুঁজে বের করার কাজটা কিছুটা হলেও সহজ হবে।’
এ বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত তারুণ্যের উৎসবের সময় বিকেএফ দেশব্যাপী তরুণদের অংশগ্রহণে কাবাডি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। প্রতিযোগিতা শেষে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে পঞ্চাশজন করে ছেলে ও মেয়ে বাছাই করে। তাদেরকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সোহাগ। আগামী মাস থেকে বিদেশী ও স্থানীয় কোচের অধীনে এই প্রশিক্ষণ শুরু হবে।’
সব ফেডারেশনের জন্য বিশেষ করে কাবাডিতে প্রতিভা অন্বেষনের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রসঙ্গে সোহাগ বলেন প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি এই তারুণ্যের উৎসব আয়োজন করার পদক্ষেপ সরকার গ্রহণ করেন তবে কোন ধরনের সমস্যা ছাড়া ফেডারেশনগুলো নিজেদের বার্ষিক ক্রীড়াপঞ্জির সাথে মিলিয়ে এই ধরনের কর্মসূচীতে অংশ নিতে পারবে। এতে করে তৃণমূল পর্যায় থেকে বেরিয়ে আসা প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের নিয়ে ভবিষ্যত জাতীয় দলের পাইপলাইনও শক্তিশালী হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিকেএফ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের ক্রীড়াঙ্গনের বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক ফেডারেশনেই আর্থিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যে কারনে সারা বছর জুড়ে তাদের জন্য টুর্নামেন্ট আয়োজন অনেক সময়ই কঠিন হয়ে যায়। বাছাইকৃত খেলোয়াড়দের নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণেও প্রচুর অর্থের প্রয়োজন, যা ফেডারেশনের একার পক্ষে বহন করা অসম্ভব। এক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠভাবে প্রশিক্ষণ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এই বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনার জন্য তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) প্রতি আহবান জানিয়েছেন।