বাসস
  ১০ আগস্ট ২০২৫, ২২:২০

বিশ্বমানের শিল্প-সংশ্লিষ্ট দক্ষতা অর্জনে তরুণদের প্রস্তুত করতে হবে : শিক্ষা উপদেষ্টা

রোববার রাজধানীতে একটি হোটেলে টিভিইটি বাস্তবায়ন পরিকল্পনা ২০২৫-২০৩০ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার। ছবি: পিআইডি

ঢাকা, ১০ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেছেন, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ (টিভিইটি) খাতকে বৈশ্বিক মানসম্পন্ন, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অগ্রগামী কর্মশক্তি উন্নয়ন ব্যবস্থায় রূপান্তরের লক্ষ্যে ২০২৫ সালের টিভিইটি বাস্তবায়ন পরিকল্পনা দেশের জন্য এক মাইলফলক।

আজ রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে টিভিইটি বাস্তবায়ন পরিকল্পনা ২০২৫-২০৩০ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশ দক্ষ জনশক্তি নিয়োগে আগ্রহী। একইসঙ্গে দেশীয় শিল্পখাতও দ্রুত অটোমেশন, স্মার্ট ম্যানুফ্যাকচারিং ও সেবা খাতের জন্য টিভিইটি স্নাতকদের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে এই চাহিদা পূরণে বিশ্বমানের শিল্প-সংশ্লিষ্ট দক্ষতা অর্জনে তরুণদের প্রস্তুত করতে হবে।

শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, ২০২৫-২০৩০ সালের টিভিইটি বাস্তবায়ন পরিকল্পনা শ্বেতপত্রের সুপারিশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এতে প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ও শিল্পের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার, নারী ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ, সবুজ ও ডিজিটাল দক্ষতা অন্তর্ভুক্তকরণ এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের জন্য চাহিদাভিত্তিক প্রশিক্ষণের মতো অগ্রাধিকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

তিনি শিল্প মালিক, নিয়োগকর্তা ও সেক্টর স্কিল কাউন্সিলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, কারিগরি শিক্ষাকে মর্যাদাপূর্ণ কর্মসংস্থানে রূপ দিতে তাদের অভিজ্ঞতা ও অবকাঠামো অপরিহার্য।

উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাদের কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে পরিকল্পনার বাস্তবায়নে সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানান উপদেষ্টা।

শিক্ষা উপদেষ্টা দ্রুত বহুপক্ষীয় জাতীয় ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন, পরিকল্পনার স্থানীয় বাস্তবায়ন, চলতি অর্থবছরের কার্যক্রম পরিকল্পনা চূড়ান্তকরণ এবং শক্তিশালী জবাবদিহি ব্যবস্থা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি পরিকল্পনাটিকে জাতীয় দলিল হিসেবে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য কারিগরি মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

তিনি বলেন, সময়সীমা ৫ বছর, দায়িত্ব বড়। সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে এটি লক্ষ লক্ষ তরুণের জীবন পরিবর্তন করবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের প্রধান এডউইন কুককুক।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শোয়াইব আহমাদ খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন অনুবিভাগ) সামসুর রহমান খান।