ঢাকা, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) ২০২৬-২০২৭ মেয়াদের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালী হক চৌধুরী।

এছাড়া, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নেসলে বাংলাদেশ পিএলসির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক দীপাল আবেইউক্রেমা এবং সহ-সভাপতি হয়েছেন লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ পিএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী।

আজ রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ফিকির ৬২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) এ আগামী মেয়াদের জন্য ১৫ সদস্যের নতুন পরিচালনা পর্ষদের নাম ঘোষণা করা হয়। ফিকির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ফিকির ২০২৪-২০২৫ মেয়াদের বর্তমান সভাপতি জাভেদ আখতারের স্থলাভিষিক্ত হবেন রুপালী হক চৌধুরী। ১৫ সদস্যের নতুন বোর্ড ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। বর্তমান বোর্ডের কার্যকাল শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫।

নবনির্বাচিত সভাপতি রুপালী হক চৌধুরী বলেন, ‘ফিকির সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হওয়া আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক। চেম্বারের সদস্য কোম্পানির প্রতিনিধিদের প্রতি আমার উপর তাদের বিশ্বাস ও আস্থা রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রূপান্তরে অবদান রাখার লক্ষ্যে ফিকিকে আরও শক্তিশালী ভূমিকা পালনে আমি বদ্ধপরিকর।’

তিনি আরও বলেন, গত দুই বছরে ফিকিকে যে নেতৃত্ব দিয়েছেন তার জন্য আমি জাভেদ আখতারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। নতুন পরিচালনা পর্ষদ, সদস্য কোম্পানি এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে নিয়ে আমরা ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, প্রয়োজনীয় নীতি সংস্কার এবং ভবিষ্যত প্রস্তুতি, প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতির দিকে দেশের অগ্রযাত্রায় অবদান রাখতে চাই।

বিদায়ী সভাপতি জাভেদ আখতার পরিচালনা পর্ষদ এবং ফিকি সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘গত দুই বছর ফিকির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের বিষয় ছিল। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময় আমরা একসঙ্গে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ এগিয়ে নিয়েছি। যা বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে।’

তিনি আরও বলেন, বার্ষিক সাধারণ সভা শুধু বছরের সমাপ্তি নয়, বরং ফিকির দীর্ঘ পথচলার সফলতারও উদযাপন। নতুন সভাপতি, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং সহ-সভাপতিসহ আমাদের পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আমি বিশ্বাস করি, নতুন নেতৃত্ব সরকারের সঙ্গে অংশীদারত্ব আরও গভীর করবে এবং বাংলাদেশকে বিনিয়োগবান্ধব গন্তব্য হিসেবে আরও সমৃদ্ধ করবে।

বার্ষিক সাধারণ সভায় নবনির্বাচিত ও বিদায়ী বোর্ড সদস্যসহ ফিকির সদস্য কোম্পানির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।