বাসস
  ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২০:৪৯

ঢাকায় আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল এক্সপো শুরু

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ৯ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতের প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিতকরণ এবং বৈশ্বিক টেক্সটাইল ও পোশাক শিল্পের সর্বশেষ উদ্ভাবন তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে আজ রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল এক্সপোু২০২৫ (ডিটিএ এক্সপো ২০২৫)’ শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইজিবিএ ও ইবিএফসিআই পরিচালক নীপা জান্নাত, বিইজিবিএ সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ, এমবিএবিডি সভাপতি নেজাম উদ্দিন বিপু, ইবিএফসিআই সভাপতি ড. ওয়ালী তুষার উদ্দিন এবং বিজিএমইএ সভাপতি মাসুদার রহমান।

এ বছর চীন, ভারত ও পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় টেক্সটাইল ও পোশাক প্রস্তুতকারকরা প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছেন। তারা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, টেকসই ফ্যাব্রিক, স্মার্ট অ্যাপারেল প্রযুক্তি এবং নতুন উদ্ভাবনী সমাধান প্রদর্শন করছেন।

প্রথম দিন থেকেই মেলা প্রাঙ্গণ দর্শনার্থী ও উদ্ভাবনী পণ্যে সরব হয়ে উঠেছে। স্থান পরিদর্শনে দেখা যায়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উদ্যোক্তাদের মধ্যে নতুন ব্যবসায়িক যোগাযোগ ও অংশীদারত্বের প্রবণতা তৈরি হচ্ছে।

পাকিস্তানের ইউনিকর্ন ইন্টারন্যাশনালের একজন প্রতিনিধি বলেন, ‘বাংলাদেশের সাফল্য আশাব্যঞ্জক, তবে পাকিস্তান থেকে শিপিং খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি। যদি সরাসরি বাণিজ্য রুট চালু করা যায়, বিনিয়োগ ও ব্যবসার সুযোগ বহুগুণে বাড়বে।’

চীনের একজন প্রতিনিধি লি হা বলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই দুর্দান্ত সাড়া পাচ্ছি। বাংলাদেশের বাজারে চীনের বিনিয়োগ সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ, এ প্রদর্শনী সেই সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে।’

দর্শনার্থী হাবিবুর ইসলাম বলেন, ‘এখানে চীনের উন্নত টেক্সটাইল যন্ত্রপাতি ও ফ্যাব্রিক দেখেছি। এতে বোঝা যায়, বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশ কোথায় দাঁড়িয়ে আছে—খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক।’

আরেক দর্শনার্থী চাইতি ঘোষ বলেন, ‘মেলাটি খুব সুন্দরভাবে আয়োজন করা হয়েছে। ভারত, পাকিস্তান ও চীনের স্টলে এমন অনেক ফ্যাব্রিক দেখেছি যা বাংলাদেশের বাজারে একেবারে নতুন। এই প্রদর্শনী আমাদের পোশাক শিল্পের জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।’

২০২৪ সালের শেষে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় দাঁড়ায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ইকো এক্সপোর প্রধান নির্বাহী রেজওয়ানুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল এক্সপো বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পের জন্য একটি রূপান্তরমূলক আয়োজন। আমরা বিশ্বের শিল্পখাতকে বাংলাদেশের দোরগোড়ায় নিয়ে এসেছি—স্থানীয় শিল্পকে বৈশ্বিক মানের সঙ্গে সংযুক্ত করছি এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির নতুন পথ খুলে দিচ্ছি।’

এবারের আসরে ১৫টিরও বেশি দেশের ৭৫০টির বেশি প্রতিষ্ঠান ৬০টিরও বেশি স্টলে তাদের উদ্ভাবন প্রদর্শন করছে, যা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য অন্যতম বৃহত্তম আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।

তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনীটি চলবে ১১ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত, প্রতিদিন সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ব্যবসায়িক দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।