বাসস
  ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ২৩:১৫

দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার হওয়া প্রয়োজন : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ফাইল ছবি

ঢাকা, ৯ অক্টোবর ২০২৫ (বাসস) : এলজিআরডি ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বদলেছন, ‘চব্বিশের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ দল হিসেবে যে ধরনের হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে- আমরা মনে করি দল হিসেবে তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন।’

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দিয়ে আজ বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।

এসময় আসিফ মাহমুদ বলেন, চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ দল হিসেবে যে ধরনের হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে- আমরা মনে করি দল হিসেবে তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন। অনেকেই আওয়ামী লীগের সময়ের সুবিধাভোগীরা নানাভাবে দলটিকে ফের পুনর্বাসন করার অপচেষ্টা বা ষড়যন্ত্র করে থাকেন। কিন্তু দেড় সহস্রাধিক মৃত্যু ও প্রায় ৩০ হাজার মানুষের আহত হওয়ার পর বাংলাদেশেরর জনগণ কোনোভাবেই দায়ী দলকে আবার পুনর্বাসন করতে দেবে না বাংলাদেশের জনগণ। সেই লড়াই যদি আবার করতে হয় আমাদের, আমরা আবার সেটার জন্য প্রস্তুত আছি।

আওয়ামী লীগের শাসন আমলে গুমের ঘটনায় দুই মামলা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই এটি একটি মাইলফলক ঘটনা। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালসহ গুম কমিশন এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছিল। গত এক বছরে তারা নানাভাবে বাধার শিকার হয়েছেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুসের পক্ষ থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা ছিল যে, এসব ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, আয়নাঘর ও গুম হওয়া শত শত মানুষের ফিরে না আসার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অবশ্যই শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। গতকাল সেটার একটা মাইলফলক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এটা এই সরকারসহ পুরো বিচারব্যবস্থার একটা বিজয় হিসেবে আমি মনে করি। আমি চাই এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ পুরো প্রক্রিয়া যথাযথভাবে চলমান থাকবে। কোনো স্থান থেকেই অপরাধীদের বাঁচানোর কিংবা আশ্রয়ের জন্য কোনো ধরনের প্রচেষ্টা বা অপচেষ্টা করা হবে না।

মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী ও পলাতক আসামিদের ফেরানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা এই গণহত্যার সঙ্গে দায়ী ও পলাতক অবস্থায় রয়েছেন, তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে। আইন অনুযায়ী ও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের যে বন্দি বিনিময়ে চুক্তি রয়েছে সেই চুক্তি অনুযায়ী তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেবে সরকার।