শিরোনাম
ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): বন্ড লাইসেন্সবিহীন রপ্তানিকারকদের জন্য শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানির সুযোগ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
আজ বুধবার এনবিআর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই এ প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’
মাঠ পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের সমস্যা সম্পর্কে মতামত জানার জন্য ‘মিট দ্য বিজনেস’ শীর্ষক সভাটি প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি মাসের দ্বিতীয় বুধবার এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘যেসব রপ্তানিকারকদের বন্ড লাইসেন্স নেই তারাও এখন থেকে শুল্ক ছাড়াই কাঁচামাল আমদানি করতে পারবেন। তবে, এজন্য তাদের ব্যাংক থেকে একটি গ্যারান্টি নিতে হবে যে, আমদানি করা এসব কাঁচামাল পরবর্তীতে রপ্তানি করা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এগুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা যাবে না কিংবা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।’
এনবিআর চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘এ নীতিমালা ইতোমধ্যেই চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের আইন বিভাগে পাঠানো হয়েছে এবং আশা করছি আগামী সপ্তাহেই এটি চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে।’
বর্তমান বন্ড ব্যবস্থায় রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো শুল্কমুক্ত কাঁচামাল ও উপকরণ আমদানি করতে পারে। এসব কাঁচামাল বন্ডেড গুদামে সংরক্ষণ করা হয় এবং রপ্তানির জন্য প্রস্তুত পণ্যে ব্যবহার করা হয়। তবে, কোনো বন্ডধারী প্রতিষ্ঠান এসব আমদানিকৃত কাঁচামাল রপ্তানি না করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করলে তখন তাদের বিপুল পরিমাণ আমদানি শুল্ক পরিশোধ করতে হয়।
আবদুর রহমান খান বলেন, ‘আগামী বছর থেকেই কর্পোরেট করদাতাদের কর পরিশোধ ব্যবস্থা অনলাইনে চলে যাবে। একই সঙ্গে বন্ড নিরীক্ষা কার্যক্রমও শুরু করা হবে এবং এ লক্ষ্যে এনবিআর নিরলসভাবে কাজ করছে।’
দেশে অতিরিক্ত কর অব্যাহতির সংস্কৃতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘নীতিগতভাবে জরুরি না হলে ভবিষ্যতে কোনো কর অব্যাহতি দেওয়া হবে না।’
তিনি বলেন, ‘এনবিআরের কর অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতা বাতিল করা হয়েছে, এখন কেবল সংসদই যেকোনো কর অব্যাহতি অনুমোদন করতে পারবে।’
তিনি ধীরে ধীরে কর অব্যাহতির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘করদাতারা যদি দেখেন যে, তাদের কর দেশের কল্যাণমূলক অগ্রাধিকারভিত্তিক কর্মসূচিতে ব্যয় হচ্ছে, তাহলে তারা সঠিকভাবে কর দিতে উৎসাহিত হবেন।’ তিনি করদাতাদের অযথা হয়রানি করলে এনবিআর কর্মকর্তাদের শাস্তির ওপরও জোর দেন।
পরে এনবিআর চেয়ারম্যান ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।