শিরোনাম
ঢাকা (উত্তর), ১৪ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ, শ্রম আইন সংস্কার এবং এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে জিএসপি প্লাস সুবিধা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল এবং বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)’র মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার উত্তরার বিজিএমইএ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশে ইইউ প্রতিনিধি দলের প্রধান মাইকেল মিলার। তার সঙ্গে ছিলেন ইইউ ডেলিগেশনের উপপ্রধান ড. বার্ন্ড স্প্যানিয়ার এবং প্রোগ্রাম ম্যানেজার লোলে ভ্যালেন্টিয়ান লুচেসে।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান, সহ-সভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, সহ-সভাপতি ভিদিয়া অমৃত খান, মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, ফয়সাল সামাদ, শেখ হোসেন মোহাম্মদ মোস্তাফিজ এবং ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী।
বৈঠকে ইইউ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মানদণ্ড অনুযায়ী সংস্কারের ওপর জোর দেয়। তারা জানান, শ্রম আইন সংস্কার সময়োপযোগীভাবে সম্পন্ন হলে তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক বার্তা বয়ে আনবে।
ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেন, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশকে অবাধ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। এজন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা বৃদ্ধি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার এবং কর্মশক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে বাংলাদেশের শ্রম খাত উন্নয়নে গৃহীত সময়াবদ্ধ লেবার রোডম্যাপ তুলে ধরা হয় এবং এর বাস্তবায়নের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় মাহমুদ হাসান খান সাম্প্রতিক সময়ে পোশাক শিল্পে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ও শ্রমিক কল্যাণে অর্জিত সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, শ্রমিকদের মজুরি ও অন্যান্য আইনসঙ্গত ইস্যুর দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে গাজীপুর, আশুলিয়া, মিরপুর ও নারায়ণগঞ্জে জোনভিত্তিক শ্রমিক কল্যাণ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, সুষ্ঠু শিল্প সম্পর্ক বজায় রাখতে তার নেতৃত্বে বিজিএমইএ ৮১টি শ্রমিক ফেডারেশনের সঙ্গে বৈঠক করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিজিএমইএ নেতারা বৈঠকে উল্লেখ করেন, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তীতে ইইউ বাজারে প্রতিযোগিতা ধরে রাখতে জিএসপি প্লাস সুবিধা অত্যন্ত জরুরি। তারা ইইউ এর রাষ্ট্রদূতের কাছে জিএসপি প্লাস স্কিমের ৩৭% থ্রেশহোল্ড শিথিল করার অনুরোধ জানান, যাতে বাংলাদেশের রপ্তানি ঝুঁকিমুক্ত থাকে এবং ইইউ বাজারে রপ্তানির ধারা অব্যাহত রাখা যায়।