বাসস
  ২৬ জুন ২০২৫, ১২:০৪

এনভিডিয়া রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছালেও বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে মিশ্রতা বিরাজ করছে

ঢাকা, ২৬ জুন, ২০২৫ (বাসস): ইরান-ইসরাইল সংঘাত নিয়ে বাজারের দীর্ঘস্থায়ী উদ্বেগের কারণে বুধবার বিশ্বব্যাপী শেয়ার বাজার মিশ্রভাব দেখা দিয়েছে। বুধবার বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে মিশ্র প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে, একদিকে ইরান-ইসরাইল সংঘর্ষ নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও অন্যদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে ব্যাপক তেজিভাবের কারণে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে এনভিডিয়ার শেয়ার।

নিউইয়র্ক থেকে এএফপি জানায়, বিশ্লেষকরা বলছেন যে ইরান-ইসরাইলের মধ্যে অস্ত্রবিরতি ভঙ্গ হওয়ার শঙ্কা ও যুক্তরাষ্ট্রের গোপন গোয়েন্দা রিপোর্টের তথ্যে দাবি করা হয়েছে, তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কয়েক মাস পিছিয়ে পড়লেও তা ধ্বংস হয়নি। এই দুই বিষয় বাজারে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

ক্রেসেট ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টের জ্যাক অ্যাবলিন বলেন, ‘সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের বোমাবর্ষণে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি। এই তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ইরান ইস্যুটি এখনও পুরনো অধ্যায়েই রয়ে গেছে।

এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক দিনটি প্রায় অপরিবর্তিতভাবে শেষ করলেও, দাউ সূচক কিছুটা কমে এবং নাসদাক সূচক বেড়ে বন্ধ হয়েছে।

সিএফআরএ রিসার্চের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা স্যাম স্টোভাল বলেন,  এনভিডিয়া  আজ সবার মুখে মুখে। সোমবার ও মঙ্গলবার আমাদের খুব শক্তিশালী পদক্ষেপের কারণে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা বিরতি নিচ্ছেন।

চিপ কোম্পানিটি ৪.৩ শতাংশ বেড়ে ১৫৪.৩১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে এটির বাজার মূল্য প্রায় ৩.৭৬ ট্রিলিয়ন ডলাররে পৌঁছেছে।  যা মাইক্রোসফ্ট, অ্যাপল এবং অন্যান্য প্রযুক্তি জায়ান্টদের চেয়েও মূল্যবান।

এনভিডিয়ার বার্ষিক সভায় সিইও জেনসেন হুয়াং কোম্পানির সর্বশেষ প্রযুক্তি উপস্থাপন করার সময় এই উত্থান ঘটে।
এশিয়ার বাজারে আগের দিন ওয়াল স্ট্রিট ও ইউরোপের বাজারে ইতিবাচক প্রবণতার পর বুধবার বেশিরভাগ সূচকই ঊর্ধ্বমুখী ছিল।  তবে একই দিনে ইউরোপীয় শেয়ারবাজারে দরপতন লক্ষ্য করা গেছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের মজুদ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি পরিমাণে মজুদ কমে যাওয়ায় টানা দুই দিনের বড় ক্ষতির পর তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।

ডলারের মূল্য ইউরোর বিপরীতে ধারাবাহিকভাবে কমছে, কারণ মধ্যপ্রাচ্যের চলমান অস্থিরতায় নিরাপদ বিনিয়োগ থেকে প্রত্যাশিত সুবিধা মিলছে না।

ইসরাইল-ইরান সংঘাত সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বৈশ্বিক মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হলেও, বাজারগুলো এখন আবার বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সূচকের দিকে মনোযোগ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

বিশ্ব বাণিজ্যের সম্ভাবনা ও শুল্কনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে ফেডেক্স পুরো বছরের জন্য আর কোনো পূর্বাভাস দেয়নি, যার ফলে কোম্পানির শেয়ারমূল্য ৩.৩ শতাংশ কমে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বের বহু দেশ ওয়াশিংটনের সঙ্গে কোনো না কোনো বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত কেবল যুক্তরাজ্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। যদিও বেইজিং ও ওয়াশিংটন পারস্পরিকভাবে আরোপিত সর্বোচ্চ শুল্ক কিছুটা কমাতে সম্মত হয়েছে।