বাসস
  ০২ জুন ২০২৫, ১৭:১৬

কৃষিপণ্য বাণিজ্যের সুযোগ খুঁজতে ইপিবি’র সঙ্গে চীনা প্রতিনিধিদলের বৈঠক

ছবি : পিআইডি

ঢাকা, ২ জুন, ২০২৫ (বাসস) : কৃষি পণ্য বাণিজ্যের সুযোগ খুঁজতে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে আলোচনা করেছে চীনের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল।

সোমবার ঢাকায় এক আলোচনার সভায় চায়না চেম্বার অব কমার্স ফর ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট অব ফুডস্টাফস, নেটিভ প্রোডিউস অ্যান্ড অ্যানিমেল বাই-প্রোডাক্টস (সিএফএনএ) এর সভাপতি কাও দেরং-এর নেতৃত্বে ২২ সদস্যের একটি চীনা প্রতিনিধিদল অংশ নেন।

আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কৃষি পণ্যের বাজার সুযোগ চিহ্নিতকরণ ও সম্প্রসারণের ওপর আলোকপাত করা হয়েছে। উভয় পক্ষ কৃষি-খাদ্য খাতে গভীর বাণিজ্য সম্পৃক্ততা এবং পারস্পরিক সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছে।

আলোচনা সভায় কাও দেরং চীনা প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চারটি মূল উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন।

প্রধান উদ্বেগের বিষয়গুলো হলো কৃষিপণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিকভাবে ধরা কাঁকড়ার টেকসই উৎস, কোয়ারেন্টাইন ও ফাইটোস্যানিটারি সমস্যা এবং বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে প্রস্তাবিত কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সেপা)-এর অবস্থা ও অগ্রগতি।

জবাবে ইপিবি ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশ সরকারের পূর্ণ সহযোগিতা ও নীতিগত সহায়তার আশ্বাস দেন। তিনি গুণগত মানসম্মত পণ্য ও বাণিজ্য সহজতর করতে বাংলাদেশের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

মো. আনোয়ার হোসেন চীন সরকারের কাছ থেকে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও কারিগরি সহায়তাও চেয়েছেন, বিশেষ করে কৃষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, কোল্ড চেইন লজিস্টিকস ও গুদাম অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহায়তা চাওয়া হয়।

অধিবেশনে ইপিবির মহাপরিচালক-১ বেবী রাণী কর্মকার, ইপিবি’র মহাপরিচালক-২ আকতার হোসেন আজাদ এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। 

অধিবেশন সঞ্চালনা করেন ইপিবি’র পরিচালক (পলিসি) আবু মুখলেস আলমগীর হোসেন।

এ ছাড়া শীর্ষস্থানীয় কৃষি রপ্তানিকারক ও বাণিজ্য সংগঠনের প্রতিনিধিরাও বিজনেস টু বিজনেস (বি টু বি) অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং মূল্যবান জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে সম্ভাব্য অংশীদারিত্ব খুঁজে বের করেন।

কৃষি বাণিজ্য খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য একটি যৌথ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে সভা শেষ করা হয়।