শিরোনাম

ঢাকা, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ (বাসস) : ২০২৬ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে নরওয়ের মুখোমুখি হবে বর্তমান রানার্স—আপ ফ্রান্স। আর এই দুই দলের দুই তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে ও আর্লিং হালান্ডের লড়াই দেখতে মুখিয়ে আছেন ফরাশি কোচ দিদিয়ের দেশ্যম।
ওয়াশিংটন ডিসির জন এফ কেনেডি সেন্টারে গতকাল অনুষ্ঠিত ড্র অনুষ্ঠানের পর গ্রুপ-আই’তে ফ্রান্সের সঙ্গী হয়েছে নরওয়ে, সেনেগাল ও ফিফা প্লে—অফ বিজয়ী একটি দল। ড্র’র পর দেশ্যম উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘এটা দারুন এক দ্বৈরথ হতে যাচ্ছে। উভয় দলেই আরো বেশ কিছু বড় তারকা রয়েছে। কিন্তু অবশ্যই সবাইকে ছাড়িয়ে পুরো বিশ্বের নজড় থাকবে কিলিয়ান ও হালান্ডের উপর। বিশ্ব ফুটবলের ভবিষ্যত এই দুই শীর্ষ তারকার লড়াই দেখতে প্রত্যেকেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবে।’
এবারের মৌসুম শুরু হবার পর থেকে রিয়াল মাদ্রিদ ও ফ্রান্সের হয়ে এমবাপ্পে ইতোমধ্যেই ২৪ ম্যাচে ৩০ গোল করেছেন। নরওয়েজিয়ান তারকা হালান্ডও কম যাননা। ম্যানচেস্টার সিটি ও নরওয়ের হয়ে ২৪ ম্যাচে হালান্ড করেছেন ৩৩ গোল।
হালান্ডের কল্যাণে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইতালিকে পিছনে ফেলে নরওয়ে গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে ১৯৯৮ সালের পর প্রথমবারের মত চূড়ান্ত পর্বে খেলতে এসেছে।
অন্যদিকে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে ফাইনালে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হওয়া ফ্রান্স এবার আর কোন ভুল করতে চায়না। তৃতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের লক্ষ্যেই তারা মাঠে নামবে।
আগামী মার্চে ইরাক, বলিভিয়া ও সুরিনামকে নিয়ে অনুষ্ঠিত আন্ত:মহাদেশীয় প্লে-অফ বিজয়ী দিয়ে গ্রুপ-আই পরিপূর্ণ হবে।
সেনেগালের সাথে লড়াই ২০০২ সালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনবে। চ্যাম্পিয়ন হিসেবে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত সেবারের বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েছিল ফ্রান্স। কিন্তু পশ্চিম আফ্রিকান দেশটির বিপক্ষে আসরের প্রথম ম্যাচেই হেরে বসে ফরাসিরা। আর এই হারেই কার্যত গ্রুপ পর্ব থেকে শেষ পর্যন্ত বিদায় নিতে হয়েছিল।
২০২৬ বিশ্বকাপের পরেই ফ্রান্সকে বিদায় জানানোর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক শেষ করতে যাচ্ছেন দেশ্যম। লেস ব্লুসদের হয়ে ডাগ আউটে ১৪ বছর কাটানো দেশ্যম বলেন, ‘প্রতিটি বিশ্বকাপেরই নিজস্ব কিছু গল্প থাকে। আর সেই গল্প যতটা সম্ভব সুন্দর করে রচনা করা যায় আমাদের সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’
ফ্রান্স যদি গ্রুপের শীর্ষ দশ হিসেবে নক আউট পর্বে যায় তবে রাউন্ড অব ৩২’এ তাদেরকে অন্য কোন গ্রুপের সেরা তৃতীয় স্থান লাভকারী একটি দলের মোকাবেলা করতে হবে। এরপর শেষ ১৬’র পথে তাদের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হতে পারে জার্মানী।
দেশ্যম বলেন, ‘অবশ্যই ফ্রান্স দলের একটি স্ট্যাটাস আছে। যে কারনে আমাদের ঘিরে প্রত্যাশার মাত্রাটাও বেশী। শুরুতেই পাহাড়ের চূড়ার দিকে না তাকিয়ে ধীরে ধীরে লক্ষ্যস্থির করে এগুতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথম পদক্ষেপটা অবশ্যই কঠিন।