শিরোনাম

ঢাকা, ১ ডিসেম্বর ২০২৫ (বাসস) : জাতীয় ক্রিকেট লিগে ২৭তম আসরে ষষ্ঠ রাউন্ডের দ্বিতীয় দিন সেঞ্চুরি মিস করেছেন ময়মনসিংহ বিভাগের আবু হায়দার রনি ও বরিশাল বিভাগের ফজলে মাহমুদ রাব্বি।
দু’জনের সেঞ্চুরি মিসের দিন বোলারদের দারুণ নৈপুন্যে ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ১৪৬ রানে এগিয়ে ময়মনসিংহ। প্রথম ইনিংসে ৩৫৪ রানে গুটিয়ে যায় ময়মনসিংহ। জবাবে ২১৭ রানে শেষ হয় বরিশালের ইনিংস। ফলে প্রথম ইনিংস থেকে ১৩৭ রানের লিড পায় ময়মনসিংহ। বড় লিড সাথে নিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে দিন শেষে বিনা উইকেটে ৯ রান করেছে ময়মনসিংহ।
সিলেট স্টেডিয়ামের একাডেমি গ্রাউন্ডে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে ৭৭ ওভারে ৬ উইকেটে ২৮০ রান করেছিল ময়মনসিংহ। আল-আমিন ৭০ ও রনি ৮৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
দ্বিতীয় দিন আল-আমিন ৭৪ রানে থামলেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পথে হাঁটতে থাকেন রনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। বরিশালের বাঁ-হাতি পেসার রুয়েল মিয়ার বলে ব্যক্তিগত ৯৭ রানে আউট হন রনি। তার ৭৬ বলের ইনিংসে ৮টি চার ও ৭টি ছক্কা ছিল।
দলীয় ২৯৯ রানে রনি ফেরার পর ময়মনসিংহর রান সাড়ে তিনশ পার করেন দশ নম্বরে ব্যাট হাতে নামা রাকিবুল হাসান। শেষ ব্যাটার আসাদুল্লাহ গালিবকে নিয়ে ৫৫ রান যোগ করেন তিনি। শেষ ব্যাটার হিসেবে দলীয় ৩৫৪ রানে আউট হবার আগে ২ চার ও ৭ ছক্কায় ৩৫ বলে ৫৫ রান করেন রাকিবুল। বরিশালের রুয়েল ৭৫ রানে ৫ উইকেট নেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এই নিয়ে পঞ্চমবার ইনিংসে পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিলেন রুয়েল।
নিজেদের প্রথম ইনিংস শুরু করে ৩৮ রানে ৩ এবং ৭০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বরিশাল। সতীর্থদের যাওয়া আসার মাঝে এক প্রান্ত আগলে একাই লড়াই করেছেন রাব্বি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪১তম হাফ-সেঞ্চুরি ইনিংস সেঞ্চুরিতে রূপ দেওয়া পথে ছিলেন তিনি। কিন্তু দলীয় ২০১ রানে নবম ব্যাটার হিসেবে ব্যক্তিগত ৯২ রানে আউট হন রাব্বি।
১৫২ বল খেলে ৯টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২১৭ রানে অলআউট হয় বরিশাল। পেসার গালিব ৪টি ও স্পিনার শুভাগত হোমের ৩ উইকেট শিকারে প্রথম ইনিংসে ১৩৭ রানের লিড পায় ময়মনসিংহ।
বড় লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দিন শেষে ৩.২ ওভার ব্যাট করে বিনা উইকেটে ৯ রান করে ময়মনসিংহ। ৪ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন মাহফিজুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নাইম।