শিরোনাম

ঢাকা, ২৭ নভেম্বর ২০২৫ (বাসস) : তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে জয়ের জন্য ১৮২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে সফরকারী আয়ারল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে হ্যারি টেক্টরের হাফ-সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮১ রান করে আইরিশরা। হ্যারি টেক্টর ৪৫ বলে অপরাজিত ৬৯ রান করেন।
চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে আয়ারল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন জানায় স্বাগতিক বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে ২৬ বলে ৪০ রান তুলে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগটা ভালভাবে কাজে লাগায় আয়ারল্যান্ড।
এরমধ্যে বাংলাদেশের বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলামের ওভারে ৪ বাউন্ডারিতে ১৮ রান তুলেন আয়ারল্যান্ড ওপেনার টিম টেক্টর।
পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে সাইফ হাসানের ক্যাচে আয়ারল্যান্ডের আরেক ওপেনার ও অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে শিকার করে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেটের স্বাদ দেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। ৪টি চারে ১৮ বলে ২১ রান করেন স্টার্লিং।
অধিনায়ক ফেরার পর ক্রিজে জুটি বাঁধেন দুই ভাই টিম টেক্টর ও হ্যারি টেক্টর। দু’জনে ২৪ বলে ৩১ রান উপহার দেন দলকে। মারমুখী মেজাজে থাকা টিম টেক্টরকে নবম ওভারে বিদায় দেন বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। লং-অনে তানজিদ হাসানকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১৯ বল খেলে ৬টি চারে নিজের ৩২ রানের ইনিংসটি সাজান টিম টেক্টর।
ছোট ভাই টিম টেক্টর ফেরার পর নতুন ব্যাটার ও উইকেটরক্ষক লরকান টাকারকে নিয়ে ২৫ বলে ৩৪ রানের জুটিতে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ১২তম ওভারে ১শতে নেন হ্যারি টেক্টর। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় শুরুর পর শরিফুলের প্রথম শিকারে বিদায় ঘন্টা বাজে টাকারের। ১৪ বলে ১৮ রান করেন তিনি।
দলীয় ১০৫ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর আয়ারল্যান্ডকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন হ্যারি টেক্টর ও কার্টিস ক্যাম্ফার। চতুর্থ উইকেটে ২৯ বলে ৪৪ রান যোগ করেন তারা। এতে ১৭ ওভার শেষে ১৪৮ রান পেয়ে যায় আয়ারল্যান্ড।
তানজিমের করা ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে পারভেজ হোসেন ইমনের দারুণ ক্যাচে বিদায় নেন ক্যাম্ফার। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ১৭ বলে ২৪ রান করেন তিনি।
এরপর ইনিংসের শেষ ১৬ বলে ৩২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আয়ারল্যান্ডকে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮১ রানের সংগ্রহ এনে দেন হ্যারি টেক্টর ও জিওর্জি ডকরেল। তানজিমের করা ইনিংসের শেষ ওভারে হ্যারি টেক্টরের দুই ছক্কায় ১৭ রান পায় আইরিশরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান আয়ারল্যান্ডের।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সপ্তম হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসে অপরাজিত ৬৯ রান করেন টেক্টর। ৪৫ বল খেলে ১টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন তিনি। ২ চারে ৭ বলে ১২ রান করেন ডকরেল।
তানজিম ৪১ রানে ২টি, শরিফুল ও রিশাদ ১টি করে উইকেট নেন।