শিরোনাম

ঢাকা, ২৩ নভেম্বর ২০২৫ (বাসস) : প্রায় আড়াই বছর পর ঘরের মাঠ ক্যাম্প ন্যুতে ফিরেছে বার্সেলোনা। গতকাল লা লিগায় এ্যাথলেটিক বিলবাওকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে দলের এই ফেরাটা স্মরণীয় করে রেখেছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
এক বছর আগে সংষ্কার শেষে স্টেডিয়ামের গেট খুলে দেবার কথা ছিল স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের। কিন্তু নির্মাণ কাজের বিলম্বের সাথে আরো কিছু জটিলতায় ঘরে ফিরতে বাধ্য হয়েই কিছুটা অপেক্ষা করতে হয়েছে।
রবার্ট লিওয়ানদোস্কির গোল দিয়ে শুরু, এরপর বিরতির পরপই ফারমিন লোপেজের গোলের আগে ও পরে ফেরান তোরেস করেছেন জোড়া গোল। দ্বিতীযার্ধে মিডফিল্ডার ওইহান সাচে লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিত হয়েছিল এ্যাথলেটিক।
এই জয়ে সমান ৩১ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে রিয়াল মাদ্রিদকে পিছনে ফেলে টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে ফ্লিকের দল।
ম্যাচ শেষে ফ্লিক বলেছেন, ‘খেলোয়াড়, স্টাফ, কোচ- প্রত্যেকের জন্যই এটি এটি বিশেষ ম্যাচ ছিল। এবং অবশ্যই সমর্থকদের স্টেডিয়ামে ফেরাটা অবিশ্বাস্য। কোন গোল হজম না করা, নিজেরা চার গোল দেয়া ও তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়া- সবকিছুতেই আমি দারুন খুশী। আমাদের জন্য এটি একটি যথার্থ দিন ছিল।’
আপাতত স্টেডিয়ামের তিনটি স্ট্যান্ড দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে, যেখানে কাল প্রায় ৪৫ হাজার সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। ম্যাচের আগে ও পরে আতসবাজির আয়োজন করেছিল বার্সা। অতিরিক্ত মূল্য সত্বেও ম্যাচের সব টিকেট কার্যত বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। বার্সেলোনা আশা করছে আগামী বছর পুরো স্টেডিয়াম খুলে দিলে ১ লাখ ৫ হাজার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ থাকবে।
ফ্লিক বলেন, ‘আমাদের আরো অপেক্ষা করতে হবে। বার্সেলোনাকে কোচিং করানো স্বপ্ন সত্যি হবার মতই ঘটনা।’ ইনজুরির কারনে আগের নয় ম্যাচে অনুপস্থিত গোলরক্ষক হুয়ান গার্সিয়াকে নিয়ে কাল মাঠে নেমেছিল বার্সেলোনা। সেপ্টেম্বরের পর এই প্রথম কোন ম্যাচে গোল হজম না করে শেষ করলো স্বাগতিকরা।
নতুন স্টেডিয়ামে প্রথম গোল উদযাপন করতে দর্শকদের খুব বেশীক্ষন অপেক্ষা করতে হয়নি। চার মিনিটে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পড়ে মাঠে নামা অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার লিওয়ানদোস্কি বার্সাকে এগিয়ে দেন। নিষেধাজ্ঞায় থাকা ফ্রেংকি ডি জংয়ের স্থানে মিডফিল্ডে খেলতে নামা এরিক গার্সিয়ার পাসে শক্তিশালী লো স্ট্রাইকে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক উনাই সাইমনকে পরাস্ত করেন লেভা। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে ব্যবধান দ্বিগুন করেন তোরেস। লামিন ইয়ামালের থ্রু বলে তোরেসের শট আটকানোর সাধ্য ছিলনা সাইমনের।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দলের ব্যবধান ৩-০’তে নিয়ে যান লোপেজ। ৫৪ মিনিটে লোপেজকে বাজেভাবে ট্যাকেল করে লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যেতে বাধ্য হন সাচে। ৮১ মিনিটে ডেভিড ওলমোর জায়গা ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রাফিনহাকে মাঠে নামান ফ্লিক। মাঠে নেমেই জোড়ালো একটি শট নিয়েছিলেন রাফিনহা। কিন্তু অল্পের জন্য তা পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ম্যাচের একেবারে শেষ মিনিটে ইয়মাল ড্রিবল করে দুর্দান্ত এক পাস বাড়িয়ে দেন তোরেসের দিকে। এই পাস থেকে তোরেস তার দ্বিতীয় গোল পূরণ করেন।