শিরোনাম

ঢাকা, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : নিষেধাজ্ঞায় থাকা ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোকে ছাড়াই পর্তুগাল বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। রোববার বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে আর্মেনিয়াকে ৯-১ গোলে বিধ্বস্ত করে ২০২৬ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছে গেছে পর্তুগীজরা।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ব্রুনো ফার্নান্দেস ও পিএসজির হুয়ায় নেভেসের হ্যাটট্রিকে পোর্তোতে রবার্তো মার্টিনেজের দলের এফ-গ্রুপের শেষ ম্যাচে বড় জয় নিশ্চিত হয়। ৭ মিনিটে রেনাটো ভেইগার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল পর্তুগাল। এরপর ফার্নান্দেস ও নেভেসের হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি স্কোরশিটে আরো নাম লিখিয়েছেন গনসালো রামোস ও ফ্রান্সিসকো কনসেইকাও।
অক্টোবরে হাঙ্গেরির সাথে ড্র করার পর বৃহস্পতিবার বিস্ময়করভাবে আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে বসে পর্তুগাল। ঐ ম্যাচে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে কনুই দিয়ে ধাক্কা দিয়ে লাল কার্ড পান রোনাল্ডো। বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিতের জন্য তাই শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে পর্তুগালকে। এনিয়ে তৃতীয়বারের মত বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে পর্তুগালের ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে।
২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়নরা এখনো পর্যন্ত বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। এনিয়ে সপ্তমবারের মত বিশ্বমঞ্চে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নামবে পর্তুগীজরা।
ম্যাচ শেষে ফার্নান্দেস বলেছেন, ‘আমরা সবসময় এভাবেই জিততে চাই। ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিজেদের কাছে নিয়ে দাপুটে জয় নিশ্চিত করতে চাই। যদিও সবসময় সেটা সম্ভব হয়না। কিন্তু আজ আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী জয় তুলে নিতে পেরেছি।’
পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত অবদান রেখেছেন মিডফিল্ডার ফার্নান্দেস। তার ফ্রি-কিকে ৭ মিনিটে ভিয়েগা পা ছুঁইয়ে গোলরক্ষক হেনরি আভাগানকে পরাস্ত করলে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। নিজেদের প্রথম আক্রমন থেকেই সফরকারী আর্মেনিয়া সমতায় ফিরে। গ্র্যান্ড-লিও রানোসের ক্রসে অধিনায়ক এডুয়ার্ড স্পার্টসেনের গোলে ১৮ মিনিটে সমতা ফেরায় আর্মেনিয়া। যদিও দ্রুতই আবারো এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। পিএসজি স্ট্রাইকার রামোস প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের ব্যাকপাস কেড়ে নিয়ে দলের হয়ে ২৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করেন। দুই মিনিট পর নেভেস ফার্নান্দেসের সহযোগিতায় দলের ব্যবধান ৩-১’এ নিয়ে যান। ৪১ মিনিটে আভাগানকে কোন সুযোগ না দিয়ে দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন নেভেস। প্রথমার্ধের স্টপেজ টাইমে রুবেন দিয়াসের আদায় করা পেনাল্টি থেকে ফার্নান্দেস দলের ব্যধান বাড়ান।
বিরতির পর ম্যান ইউ মিডফিল্ডার ফার্নান্দেস রামোসের এ্যাসিস্টে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। বদলী অভিষিক্ত খেলোয়াড় কার্লোস ফোর্বসের আদায় করা পেনাল্টি থেকে গোল করে ফার্নান্দেস হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। পর্তুগালের জার্সিতে এটি তার ২৮তম গোল। এর মাধ্যমে তিনি সাবেক দুই খেলোয়াড় রুই কস্তা ও হেল্ডার পস্তিগাগে ছাড়িয়ে পর্তুগালের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ষষ্ঠ স্থান দখল করেছেন।
৮১ মিনিটে নেভেসও হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। এরপর ফার্নান্দেজের ক্রসে কনসেইকাও ইনজুরি টাইমে দলের হয় নবম গোল করেছেন।
লাল কার্ডের জন্য আর্মেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে পারেননি রোনাল্ডো। এখন ফিফা যদি তার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ায় তবে বিশ্বকাপের শুরুতে হয়তো অনুপস্থিত থাকতে পারেন সিআর সেভেন। এনিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠ বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন রোনাল্ডো। ২০০৬ সালে তার বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছিল।