শিরোনাম

ঢাকা, ১৩ নভেম্বর ২০২৫ (বাসস) : বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেশনে পদকের আনন্দে মেতেছে বাংলাদেশ। কম্পাউন্ড নারী এককের ব্রোঞ্জ নির্ধারণী লড়াইয়ে চাইনিজ তাইপের চেন সি উকে ১৪৫-১৪৪ স্কোরে (২৯-৩০, ২৯-২৯, ২৯-২৯, ২৮-২৯, ৩০-২৭) হারিয়েছেন বাংলাদেশের কুলসুম আক্তার মনি।
চলতি আসরে এ নিয়ে দুটি পদক পেল বাংলাদেশ। সকালের সেশনে বন্যা আক্তার ও হিমু বাছাড়া জুটি এনে দিয়েছিলেন মিশ্র দ্বৈতের রৌপ্য পদক।
কম্পাউন্ড নারী এককে আরও বড় প্রাপ্তির সুযোগ ছিল কুলসুমের সামনে, কিন্তু সেমি-ফাইনালে তিনি ১৪৬-১৪৫ স্কোরে (৩০-৩০, ২৯-২৯, ২৯-৩০, ২৮-২৮, ২৯-২৯) হেরে যান ভারতের প্রাদ্বীপ প্রিথিকার কাছে। সেমি-ফাইনালে হারে ব্রোঞ্জ নির্ধারণী ম্যাচ খেলতে হয় কুলসুমকে। সেখানে অন্তত পদক জয়ের স্বাদ পেলেন তিনি। এশিয়ান আরচ্যারী চ্যাম্পিয়নশিপে এই প্রথম কোনো পদক জিতলেন কুলসুম।
বাংলাদেশকে পদক উপহার দিয়ে কুলসুম বলেন, ‘দিনের শেষটা খুব ভালো হয়েছে আমার। আমি কিন্তু প্রথমে ভয় পেয়ে যাই। ভেবেছিলাম হয়তো বা কিছুই পাবো না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি। আমি ফিনিশিং সুন্দর করেছি। এটা আরচ্যারী খেলা। কখন কি হয়ে যায় বলা যায় না। প্রথমে আপসেট হয়ে যাই, তখন মনে হচ্ছিল আর পারলাম না। প্রতিপক্ষ যখন আট মেরেছে তখন আমি সম্ভাবনা দেখি। তবে পদক জিতে সত্যি অনেক খুশি। আমার লাইফে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছি আজ। অনেক এক্সাইটেড আমি। কারণ এটা আমার প্রথম আন্তর্জাতিক পদক। আমি পদক নিশ্চিত হওয়ার পর খুশিতে কেঁদে দিয়েছি।
ভারতের কাছে সেমিফাইনালে ১ পয়েন্টে হেরেছি। এটা অনেক কিছু শিক্ষা দিয়েছে। একটা তীরও এদিক সেদিক মারা যাবে না। প্রতিটি তীর আত্মবিশ্বাসের সাথে মারতে হবে। মনোযোগ দিয়ে মারতে হবে।’
কুলসুম আরো বলেন, শুরু থেকে আজ পর্যন্ত জার্নি খুব ভালো। শুরুতে ১৪৫ মারি। টিমে যখন ব্রোঞ্জে হেরে যাই তখস আপসেট হই। প্রথমে বেশ ভালো করছিলাম। কিন্তু মনে হচ্ছিল সব হারিয়ে ফেলছি। তবে মিক্সড টিম যখন রূপা পেল তখন খুশি হই। যখন সেমিফাইনালে উঠি মনে হয়েছে আমি পারব। নিজেকে বলি, আমার আত্মবিশ্বাস আরও আনতে হবে। দেশের জন্য কিছু করতে হবে।
অলিম্পিক সোনাজয়ী আর্চারদের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে বলব- ওরা ১০ এ মারতে পারে। আমিও ১০ এ মারতে পারি। আমি মাত্র ২ বছর খেলছি। ওরা অনেক সিনিয়র । তাদের দেখে বাড়তি চাপ নেইনি।
অলিম্পিকে ২০২৮ সালে কম্পাউন্ড মিশ্র ইভেন্ট রয়েছে। এ সম্পর্কে কুলসুম বলেন, আমি যখন নতুন খেলতে আসি তখন জানতাম না অলিম্পিক কি, আরচ্যারী খেলা কি। যখন থেকে বোঝা শুরু করেছি তখন থেকে স্বপ্ন দেখা শুরু করি। এবার প্রথম মিক্স টিম আসছে অলিম্পিকে। যদি আমি চেষ্টা করি হয়তো অলিম্পিকে খেলতে পারব সরাসরি। সব কিছু সম্ভব। কিছুই অসম্ভব না। তাই আমিও চেষ্টা করব অলিম্পিকে খেলতে। পদক জিততে।