শিরোনাম
ঢাকা, ৭ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় গাজায় ফিলিস্তিন জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার সুলেইমান ওবেইদ নিহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী গাজার দক্ষিণাঞ্চলে মানবিক সাহায্য পেতে অপেক্ষমাণ ফিলিস্তিনি জনতার ওপর ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালালে ৪০ বছর বয়সী এই ফুটবলার প্রাণ হারান।
ওবেইদের মৃত্যুকে জাতি এবং ক্রীড়া সম্প্রদায় উভয়ের জন্যই একটি উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হিসেবে বিশ্বজুড়ে শোক প্রকাশ করা হয়েছে।
গাজা শহরে ইসারায়েলি নারকীয় হামলা এপর্যন্ত ২৩ মাসে পৌঁছেছে। গত মাসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ৩৯ জন ক্রীড়াবিদ, স্কাউট ও তরুনের মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়। সব মিলিয়ে ফিলিস্তিনের ক্রীড়াঙ্গন ও তরুণ সমাজ মিলিয়ে এ পর্যন্ত ৬৬০ জনেরও বেশী মৃত্যুও খবর পাওয়া গেছে।
ফিলিস্তিন ফুটবল এসোসিয়েশন (পিএএফ) নিজেদের ওয়েবসাইটে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সুলেইমানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।
পিএএফের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে মানবিক সাহায্যের জন্য অপেক্ষমাণ মানুষের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় ও বিচ সার্ভিসেস দলের তারকা সুলেইমান আল ওবেইদ নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিন ফুটবলে সুলেইমান “দ্য ব্ল্যাক পার্ল”, “দ্য গ্যাজেল”, “হেনরি অব প্যালেস্টাইন” এবং “পেলে অব প্যালেস্টাইন ফুটবল” নামে পরিচিত ছিলেন। ফিলিস্তিন ফুটবলের এই পেলে পাঁচ সন্তান রেখে গেছেন।’
ফিলিস্তিনি ফুটবলে দারুন জনপ্রিয় ছিলেন ওবেইদ। নিজ শহরের ক্লাব শাবাব আল শাতির হয়ে ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন ওবেইদ। এরপর ওয়েস্ট ব্যাংক প্রিমিয়ার লিগে আল-আমারি ক্লাবে যোগ দেন।
আন্তর্জাতিক ভাবেও তিনি বেশ পরিচিত ছিলেন। ২০১০ সালে পশ্চিম এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন চ্যাম্পিয়নশীপে ইয়েমের বিপক্ষে ফিলিস্তিনের হয়ে তিনি প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করেছিলেন। ২০১২ সালে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ বাছাইপর্বে ও ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তিনি ফিলিস্তিনকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
তার মৃত্যুতে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং গাজায় বেসামরিক নাগরিক ও ক্রীড়াবিদদের উপর অব্যাহতভাবে হামলার বিষয়ে আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে। সুলেইমান ওবেইদের মৃত্যু কেবল ফিলিস্তিন ফুটবলের জন্যই এক মর্মান্তিক ঘটনা নয়, বরং চলমান সংঘাতের ভয়াবহ মানবিক ক্ষতিরও একটি ভয়াবহ স্মারক।