শিরোনাম

চট্টগ্রাম, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে বিএনপির প্রার্থী ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা আজ একটাই- গণতন্ত্র ফিরে পাওয়া। কোন দলের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে, তা জনগণের অজানা নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তাদের মালিকানা ফিরে পেয়েছে জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, আজ আনন্দের দিন, আজ আমরা গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরে পাওয়ার পথে রয়েছি। সুতরাং এই আনন্দ সবার- যারা আন্দোলন করেছি, যারা ত্যাগ স্বীকার করেছি, যারা মৃত্যুবরণ করেছে কিংবা পঙ্গুত্ব হয়েছে। এই দিনটি সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গত ১৭ বছর ধরে মানুষ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। যারা জীবন দিয়েছেন, যারা গুম-খুন, মিথ্যা মামলা, চাকরি হারানোর শিকার হয়েছেন- সেই সব ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা আমাদের ভোটাধিকার ফিরে পেয়েছি। বাংলাদেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে সংসদ গঠন করবে, নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। যে সরকার ও সংসদ জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে।
১০ দলীয় জোটের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রত্যেক দলের অধিকার আছে তারা কীভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং কী কৌশল গ্রহণ করবে। এটি সবার অধিকার, তাই আমরা একে স্বাগত জানাই। দিনের শেষে বাংলাদেশের মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে- কার মাধ্যমে এ দেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে।
বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের বিষয়ে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মনোনয়ন পরিবর্তন গঠনতন্ত্রের বাইরে কিছু নয়। প্রত্যাহারের সুযোগ রয়েছে, এটি গণতন্ত্রের প্রক্রিয়ার অংশ। এটি নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের অংশ এবং আগেও হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে। প্রতিযোগিতা থাকবে। গত ১৭ বছর বাংলাদেশে প্রকৃত কোনো নির্বাচন হয়নি। তাই সবার মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা রয়েছে। মানুষ কষ্ট করেছে, ত্যাগ করেছে- স্বাভাবিকভাবেই সবাই অংশগ্রহণ করতে চাইবে। এসব বিষয় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই সমাধান হবে।
তিনি বলেন, উন্নয়ন বলতে আমরা সঠিক উন্নয়ন বুঝি- বাটপারি বা চুরির উন্নয়ন নয়। এমন উন্নয়ন চাই, যেখানে প্রত্যেক মানুষ উন্নয়নের সুফল পাবে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম-৮ (বন্দর-হালিশহর-পতেঙ্গা-কাট্টলি) আসন থেকে উপনির্বাচনে প্রথমবারের মতো বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ও ২৫ মার্চ ২০০৪ পর্যন্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলা ও ৩৪টি থানা এলাকা নিয়ে মোট ১৬টি সংসদীয় আসন রয়েছে। এর মধ্যে নগরে চারটি, উত্তরে সাতটি এবং দক্ষিণে পাঁচটি আসন। ১১ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণার পর তিনজন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু হয়। আজ সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল।