শিরোনাম

ঢাকা, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক জোট ও দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
গণতন্ত্র মঞ্চ, গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট, ১২ দলীয় জোট, সমমনা জোট, গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃবৃন্দ আজ রাত ১১টায এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, শরিফ ওসমান হাদি ছিলেন একজন সাহসী, অকুতোভয় ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক কর্মী। তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছিলেন দৃঢ় কণ্ঠস্বর এবং একটি মানবিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখিয়েছেন জাতিকে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, একটি মানবিক, গণতান্ত্রিক ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন হাদি। তার মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। দল-মত ও ধর্ম নির্বিশেষে তার অসমাপ্ত সংগ্রাম এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
বিবৃতিতে শরিফ ওসমান হাদির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়। একই সঙ্গে তার হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার, হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন এবং ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। হত্যাকারীরা দেশত্যাগ করে থাকলে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করার আহ্বানও জানানো হয়।
এছাড়া হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ছায়ানট এবং নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবিরের ওপর সংঘটিত হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ওসমান হাদির লড়াই ছিল গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম; এ ধরনের সহিংস ও বর্বর কর্মকাণ্ড কখনোই তার আদর্শের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
তারা বলেন, পরিকল্পিতভাবে মব উস্কে দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চলছে। প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষ গণমাধ্যম, ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট এবং একটি কূটনৈতিক স্থাপনায় হামলা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চেতনাকে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।
বিবৃতিতে ময়মনসিংহে এক হিন্দু ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা ও দাহ করার নৃশংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রাষ্ট্রের ব্যর্থতাকেই স্পষ্ট করে তুলছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
বিবৃতিতে বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় অন্তর্বর্তী সরকারকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্ব্যবান জানিয়েছেন তারা। অন্যথায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে বলে তারা মনে করেন।
যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, আ.স.ম. আব্দুর রব (জেএসডি), মাহমুদুর রহমান মান্না (নাগরিক ঐক্য), সাইফুল হক (বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি), জোনায়েদ সাকি (গণসংহতি আন্দোলন), শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু (ভাসানি জনশক্তি পার্টি), মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক (জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ), সুব্রত চৌধুরী (গণফোরাম), কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (এলডিপি), নুরুল হক নুর (গণঅধিকার পরিষদ), সৈয়দ এহসানুল হুদা (১২ দলীয় জোট), ফরিদুজ্জামান ফরহাদ (সমমনা জোট), নাহিদ ইসলাম (গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট ও এনসিপি), হাসনাত কাইয়ূম (বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন) এবং মজিবুর রহমান মঞ্জু (এবি পার্টি)