শিরোনাম

ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র, জুলাই বিপ্লবের সম্মুখ সারির নেতা ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) চ্যাপ্টার।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক শামছুন নাহার বলেন, ১২ তারিখ যে হাদির ওপর হত্যাচেষ্টায় গুলি করা হয়েছে সেই হাদির নাম এখন সারাবিশ্ব দেশ জেনে যাচ্ছে। তার প্রতিবাদী কন্ঠস্বর ছড়িয়ে পড়ছে। দেশে এখন কালচারাল ফ্যাসিজমের উত্থান হয়েছে, তাই হাদির ভয়েজ পছন্দ হচ্ছে না। এ জন্য দুনিয়া থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস যে ‘থ্রি জিরো’-এর কথা বলেছেন, জুলাই যোদ্ধারও সেই ‘থ্রি জিরো’ বাস্তবায়নের রুপরেখা দিয়েছিল। আজ যে হাদিদের জন্য, যে জুলাই যোদ্ধাদের জন্য কথা বলতে পারছি তাদের নিরাপত্তা আমাদেরকেই দিতে হবে। সবাইকে তাদের পাশে থাকতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের সদস্য সচিব অধ্যাপক আসাদুজ্জামান সাদী বলেন, আমরা এখন যে কথা বলতে পারছি, সেটি সম্ভব হয়েছে জুলাই যোদ্ধাদের প্রাণের বিনিময়ে। হাদির মত প্রাণ কেড়ে নিলে জুলাই চেতনা বন্ধ হবে না। আমরা তা হতে দেব না। শোষিত-নিপীড়িত জনগণের কথা বলতে হাদির মত মানুষ প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে মাধ্যমে এমন একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সৃষ্টি হোক যাতে সবাই হাদির মত কথা বলতে পারবে। হাদিদের মত যারা মুক্তমনা আছে তারা নিরাপত্তা পাবে। হাদিরা মরে না, মরবে না। একটা সময় আমরা প্রকৃতভাবেই স্বাধীন রাষ্ট্র পাবো। জড়িতদের বিচার দ্রুত নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।
ইউটিএল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক বিল্লাল হোসেন বলেন, ওসমান হাদি সহকর্মীদের সহায়তার জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। রাজনৈতিক ফ্যাসিবাদ পালিয়েছে কিন্তু সাংস্কৃতিক ফ্যাসিবাদ এখনও বিদ্যমান।
তিনি আরও বলেন, অনেকে মানুষের থেকে চাঁদা নিয়ে ইলেকশন করে কিন্তু হাদি খালি হাতে নির্বাচনে নেমেছে। হাদি সাধারণ মানুষের কথা বলে। আর যারা আধিপত্য নিয়ে কাজ করে এবং ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে চান তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন। হাদি শিক্ষক, শ্রমিক ও কৃষকের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছেন।